অধরাই থেকে গেল দোষী।মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত ১৮৯ জনের মৃত্যুর মামলায় ১৯ বছর পর রেহাই পেয়ে গেল ১১ অভিযুক্ত। এদিন মুম্বই হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়কে বাতিল করে অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনকে নির্দোষ জানিয়ে তাদের মুক্তি দিল। ১১ জুলাই ২০০৬ এ মুম্বাই লোকাল ট্রেনে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ১৮৯ মানুষের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের এমসিওসিএ-র বিশেষ আদালত এই মামলায় ১২ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ জনকে মৃত্যুর সাজা এবং বাকি ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
বিচারপতি অনিল কিলোর এবং বিচারপতি শ্যাম চন্দকের স্পেশাল বেঞ্চ এদিন জানায়, ‘এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়, বেশ কিছু সাক্ষী সন্দেহের তালিকায় রয়েছে’। এই মামলায় অভিযুক্তদের মৃত্যুর আদেশ খারিজ করা হল। অন্য কোনও মামলায় অভিযুক্তরা দোষী না হলে তাহলে তাদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেঞ্চ আরও জানায় পুলিশ এই মামলায় অভিযুক্তদের মৌখিক বয়ানের ওপর ভিত্তি করে মামলা করেছে যা আইনবিরুদ্ধ ।
২০১৫ সালে ট্রায়াল কোর্ট বিস্ফোরণ মামলায় যে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মধ্যে ফয়সাল শেখ, আসিফ খান, কামাল আনসারি, এহতেশাম সিদ্দিকি এবং নাভিদ খানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। অন্য সাত অভিযুক্ত মোহাম্মদ সাজিদ আনসারি, মোহাম্মদ আলি, ডা. তানভীর আনসারি, মাজিদ শফি, মুজ্জাম্মিল শেখ, সোহেল শেখ এবং জমির শেখকে ষড়যন্ত্রী হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন
২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বাইয়ের বেশ কয়েকটি ট্রেনে ১১ মিনিটের ব্যবধানে সাতটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণের জন্য প্রেসার কুকার বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথম বিস্ফোরণে অফিস ফেরত ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে সন্ধ্যা ৬.২৪ মিনিটে এবং শেষটি ঘটে সন্ধ্যা ৬.৩৫ মিনিটে। বোমাগুলি চার্চগেট থেকে আসা ট্রেনের প্রথম কামরায় বগিতে রাখা হয়েছিল। একসঙ্গে পরপর মাতুঙ্গা রোড, মাহিম জংশন, বান্দ্রা, খার রোড, যোগেশ্বরী, ভায়ান্দর এবং বোরিভালি স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণগুলি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বহু মানুষের। আহত হন হাজারও মানুষ।