একদিকে চলছে ভারতীয় ফুটবলের অন্ধকার যুগ। অন্যদিকে স্থগিত হয়ে গিয়েছে আইএসএল (ISL)। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবল দলের দুরবস্থার জন্য আইএসএলকেও দায়ী করলেন দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। তাঁর দাবি, আইএসএল থেকে আসলে কেউই কিছু পায়নি। তাই তিনি দাবি তুলেছেন দেশের ফুটবল কাঠামো এমন হওয়া উচিত যাতে সবাই লাভবান হয়। সবথেকে বেশি লাভবান হতে হবে ভারতীয় ফুটবলকে।
কয়েকদিন আগেই আইএসএল আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণাটি করা হয়েছে আয়োজক সংস্থা এফএসডিএল (FSDL) -এর তরফে। যাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতাটি নিয়ে এআইএফএফ (AIFF) -এর ১৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল গত ২০১০ সালে। এই চুক্তি অনুসারে প্রতিবছর ৫০ কোটি টাকা করে আয় করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এ বার ফেডারেশন এবং ক্লাবগুলিকে দেওয়া চিঠিতে আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, এআইএফএফের স্বাক্ষরিত মাস্টার্স এগ্রিমেন্ট রাইটস শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ৮ ডিসেম্বর। কিন্তু নতুন করে চুক্তির জন্য কয়েক মাস আগে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আইএসএল এফএসডিএলে’র আলোচনা হলেও তা থেকে কোনও রফা সূত্র মেলেনি।
ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেহেতু চুক্তি আগামী ডিসেম্বরেই শেষ তাই এ বছরের আইএসএল আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে এফএসডিএল। এদিকে কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন তাই ফেডারেশনকে শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই নিষেধ করেছে এফএসডিএলে’র সঙ্গে আলোচনায় বসতে। ফলে আলোচনায় কারা বসবেন তাও নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপরেই। এই অবস্থায় বাইচুংয়ের দাবি, “মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের পরই যদি সংবিধান এবং নির্বাচন ঘোষণা করা যেত তা হলে এত সমস্যাই হত না। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পরই নির্বাচন এবং সংবিধানের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।”
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
এরপরই বাইচুং সরাসরি চলে আসেন আইএসএল থেকে ভারতীয় ফুটবল আজ অবধি কী পেয়েছে সেই প্রসঙ্গে। তাঁর কথায়, “আমি আইএসএল খেলিনি। তবে যখন ১৪ টি দল খেলত তখন আমরা এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছি। অথচ এখন ২৪ টি দল খেলে তবু আমরা যোগ্যতা অর্জনের জন্য লড়াই করে চলেছি। আমি অবসর নিয়েছি ১৫ বছর। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত সুনীল ছেত্রীর পর আর কোনও নতুন স্ট্রাইকার উঠে আসেনি। তখন আমাদের র্যাঙ্কিং ছিল ১০০ -এর নিচে। আর এখন ১৩৩।” এরই সঙ্গে যোগ করেছেন, “আইএসএল থেকে কেউ কিছুই পায়নি। আসলে আমাদের ফুটবল কাঠামোতেই বড়সড় গলদ রয়েছে। যেটা আমি বারবার বলেছি। তাই এফএসডিএল, এআইএফএফ বা অন্যেরা যেন তাড়াহুড়ো করে ভুল চুক্তি না করে। তাতে কয়েক মাস দেরি হলে হোক।”