বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ ফের একবার রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গের এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউটিউবার ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এই সব ইউটিউবার, রিপোর্টার এখন বিজেপিকে নিজের মা-বাবার থেকেও বেশি ভালোবাসে… এই সব বেজন্মার দল বিজেপির নাম করে চর্চা করছে।” তাঁর এই বক্তব্য সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে এবং সংবাদমাধ্যমের অন্দরে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
বক্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষের একাংশ থেকে শুরু করে পেশাদার মহল পর্যন্ত অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা কীভাবে এমন ভাষা ব্যবহার করতে পারেন? একজন জনপ্রতিনিধি যদি সংবাদমাধ্যম বা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এভাবে অপমান করেন, তাহলে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিই প্রশ্নের মুখে পড়ে।
জানা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়েই বিজেপির অন্দরে নানা জল্পনা চলছিল। একাধিক কর্মসূচিতে তাঁকে অনুপস্থিত দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাতেও তিনি গুরুত্ব পাচ্ছেন না, এই পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই চাপে পড়েই তিনি সাংবাদিক ও ইউটিউবারদের উপর আক্রমণ শানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে খবর, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কানে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁকে কৈফিয়ত দিতে বলা হতে পারে বলেও জানা গেছে।এই ঘটনার পর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, শুধুমাত্র মত প্রকাশ বা সমালোচনার কারণেই যদি সাংবাদিকদের ‘বেজন্মা’ বলা হয়, তবে সেটা সাংবিধানিক অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন।