কমবেশি সকলের বাড়িতেই ফ্রিজের মাথায় কিছু না কিছু রাখার অভ্যেস আছে। অনেকে প্রয়োজনে, অনেকে আবার ঘর সাজাতে ফ্রিজের ওপর ছোট্ট স্ট্যাচু কখনও আবার কাচের ফুলদানি বা ফটো ফ্রেম রাখেন। আবার মাঝে মাঝে জায়গা পায় টুকিটাকি জিনিস, নানা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মশলার কৌটো। বেশ কিছু জিনিস রয়েছে, যেগুলো ফ্রিজের মাথার উপরে রাখা উচিত নয়। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই ফ্রিজের ওপর কিছু রাখার অর্থ ফ্রিজের ক্ষতি করা। কীভাবে ?
— বলি শুনুন, ফ্রিজের মাথায় অনেকেই কভার পাতেন। কভার পাতার কারণ ধুলো থেকে বাঁচানো আবার সুন্দর দেখায়। কিন্তু জানিয়ে রাখি, ফ্রিজের উপরে ভেন্ট বা গ্রিল থাকে, যা ফ্রিজের কম্প্রেসার থেকে উৎপন্ন তাপ বের করতে সাহায্য করে। কাপড় বা কভার দিয়ে এই ভেন্ট ঢাকলে বায়ু চলাচল বাধা পায়। ফ্রিজ অতিরিক্ত গরম হতে পারে।
— ভুলেও ফ্রিজের মাথায় কোনওরকম বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি রাখবেন না। যেমন – কফি তৈরির মেশিন, ছোট হিটার, ব্লেন্ডার, রেডিয়ো বা টোস্টারের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ফ্রিজের মাথাতে রাখবেন না। শুধু তাই নয় আলো লাগানো কোনও শো-পিসও ফ্রিজের মাথায় রাখবেন না। তা থেকে শর্ট সার্কিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ফ্রিজের কম্প্রেসারে যখন তাপ তৈরি হয়, তখন এক ধরনের কম্পন হয়। ওই কম্পনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হতে পারে।
— খাবার জিনিস কখনওই নয়। পাউরুটি, ফল বা অন্য কোনও খাবারদাবারের প্যাকেট ফ্রিজের মাথার রাখা ভালো নয়। ফ্রিজের মাথায় এগুলো রাখলে ফ্রিজ থেকে যে তাপ বেরোয়, তাতে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
— ফ্রিজের মাথায় কখনও কোনও কাগজপত্র বা বই রাখবেন না। এগুলো দাহ্য পদার্থ। ফ্রিজ থেকে যে তাপ বেরোয়, তার ফলে গরম হয়ে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা হতে পারে।
— জায়গা বাঁচানোর জন্য অনেকে ওষুধভর্তি ফাস্ট এইড বক্স ফ্রিজের মাথায় রাখেন। তাতে যে ধরনের ওষুধ থাকুক না কেন, ফ্রিজের মাথায় থাকলে সেই তাপ ও কম্পনের ফলে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
— রেফ্রিজারেটরের মাথায় প্লাস্টিকের কৌটো রাখলে, তা তাপ থেকে গলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্লাস্টিকের রাসায়নিক খুব দ্রুত গলতে থাকবে। সেই সঙ্গে প্লাস্টিকে থাকা রাসায়নিক খাবারে মিশে বিপদ বাড়ে।
— ফ্রিজের মাথাতে জলের বোতল বা জল ভর্তি পাত্র, ফলের রস, তরল খাবার থাকা কোনও প্যাকেট রাখা একেবারেই ঠিক নয়। এক্ষেত্রে বোতল বা জলভর্তি পাত্র থেকে জল পড়ে ফ্রিজে ঢুকে গিয়ে শর্ট সার্কিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেইসঙ্গে খাবারের পুষ্টিগুণও তাড়াতাড়ি নষ্ট।
Leave a comment
Leave a comment