আইসিসির যে অদ্ভুত নিয়মের গেরোয় ভারতকে পড়তে হয়েছিল ম্যানচেস্টারে। একই নিয়মে এ বার ভুগতে হবে ইংরেজদেরদের। ওভাল টেস্ট থেকে কার্যত ছিটকে গেলেন ক্রিস ওকস। বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিনেই কাঁধে গুরুতর চোট পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়তে হয় ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডারকে। বাকি ম্যাচেও তাঁর খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
এ দিকে এই ঘটনার জেরেই বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে ইংরেজ শিবির। ম্যানচেস্টারে আইসিসির যে নিয়মের গেরোয় টিম ইন্ডিয়াকে পড়তে হয়েছিল, একই গেরোয় পড়ে গিয়েছে অলি পোপের দলও। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভাঙা পা নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ঋষভ পন্থ। কারণ, আইসিসির নিয়ম হল একজন ব্যাটার যদি মাথায় আঘাত পান, কেবলমাত্র তা হলেই তাঁর পরিবর্তে কনকাশন সাব হিসেবে অন্য কেউ নামতে পারেন। মাথা ছাড়া শরীরের অন্য কোন অংশে চোট পেলে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
বোলারদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ফলে ক্রিস ওকসের পরিবর্তে অন্য কোনও বোলারকে নামাতে পারবেন না কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। হয় কাঁধের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ওকসকেই খেলে যেতে হবে। নয়তো ফুটবলে লাল কার্ড দেখার মত ১০ জনেই খেলতে হবে ইংল্যান্ডকে। সিরিজের নির্ণায়ক টেস্টে যা তাদের জন্য মোটেই কাম্য নয়। ১-২ পিছিয়ে থাকা ভারতীয় দল ওভালে কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচ খেলতে নেমেছে। এ অবস্থায় ইংল্যান্ড যদি ওকসের মতো একজন প্রথম সারির ক্রিকেটারকে হারিয়ে ১০ জনের দল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কাজটা যে এক ধাক্কায় অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে গিলদের জন্য তা বলাই বাহুল্য।
শুক্রবার ওভালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ কাঁধে চোট পান ক্রিস ওকস। এর আগে অধিনায়ক বেন স্টোকস কাঁধের চোটেই ছিটকে গিয়েছেন সিরিজ থেকে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ওকসেরও না একই দশা হয়। এ দিকে আইসিসির অদ্ভুত নিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দুই শিবিরই। দীনেশ কার্তিকের কথায়, “পর পর দুই ম্যাচ এমন চোট পেয়েছেন দুজন ক্রিকেটার। তাতে তাঁদের ফের মাঠে নামাই মুশকিল হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় অবশ্যই ম্যাচ রেফারির পরিবর্ত খেলোয়াড় নামানোর অনুমতি দেওয়া উচিত।”