মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবেই মান্যতা দিল ইন্ডিয়া ব্লক। আগামী ৮ আগস্ট দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করবেন বিরোধী সাংসদরা। শুক্রবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে এই কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে।
গত ২১ জুলাই এর মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এসআইআর এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তর ঘেরাও করবে দল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় দলনেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাব পেশ করেন। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন ইন্ডিয়া জোটের বাকি নেতারা। ঠিক হয়েছিল আগামী সপ্তাহে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। শুক্রবার ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট সংসদ ভবন থেকে একজোটে বিরোধী সাংসদরা মার্চ করে অশোকা রোডে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে যাবেন এবং অবস্থান বিক্ষোভ করবেন।
শুক্রবারও এসআইআর প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদ উত্তাল করে রাখে বিরোধী শিবির। আলোচনার জন্য দাবি জানিয়ে দুই কক্ষেই একাধিক নোটিস জমা দেন বিরোধী সাংসদরা। নোটিস খারিজ হয়ে গেলে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে গেলে সংসদ ভবনের মকরদ্বারের সামনে একজোটে ধরনায় যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদবরা। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ডেরেক ওব্রায়েন, দোলা সেন, মালা রায়, শতাব্দী রায়, মৌসম নুররা হাজির ছিলেন।
বিরোধীদের চাপের মুখে এই অধিবেশনে অপারেশন সিঁদুর এবং মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দুটি আলোচনাতেই বিরোধী সাংসদদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে। বিরোধী শিবিরের দাবি, তাদের সম্মিলিত আক্রমণে সরকারের স্বরূপ প্রকাশ হয়ে গেছে। এখন এসআইআর ইস্যুতেও মোদি সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট। সূত্রের দাবি, জোট থেকে বেরিয়ে গেলেও এসআইআর ইস্যুতে বিরোধীদের সঙ্গে আছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। আগামী শুক্রবার নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে তাদের সাংসদরাও যোগ দেবেন বলে দাবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি যতদিন না এসআইআর প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততদিন সংসদেও লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ইন্ডিয়া শিবির।