বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এসআইআর-এর নাম করে বিহারে ” ভোট চুরি ” করছে নির্বাচন কমিশন। এবিষয়ে ১০০ শতাংশ খাঁটি তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এসআইআর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের এই অভিযোগকে “ভিত্তিহীন” ও “গুরুত্বহীন” বলে উল্লেখ করে পাল্টা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। একটি বিবৃতির মাধ্যমে কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে কোন গুরুত্ব দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন। “এ ধরনের বক্তব্য শুধু আশ্চর্যের নয়, এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনও যোগ নেই। কমিশন এই ধরনের বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে সব নির্বাচন কর্মীকে নিরপেক্ষভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিজেদের কাজ করার জন্য আবেদন জানাচ্ছে”। এই বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের। রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র ভিত্তিহীন অভিযোগই করেননি নির্বাচনকর্মীদের হুমকিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও ইস্যুতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা কোনওদিন নির্বাচন কমিশনকে একটিও চিঠি দেননি বলে জানিয়েছে কমিশন। বরং কমিশনের পাল্টা দাবি, গত ১২ জুন নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীকে প্রথমে মেল এবং পরে চিঠি পাঠায়। কিন্তু রাহুলের পক্ষ থেকে কোনওরকম প্রত্যুত্তর পায়নি নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখযোগ্য, বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়া চালুর পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম ইস্যু তৈরি হয়েছে। মূলত, কেন্দ্র বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। গোটা দেশে এই প্রক্রিয়া চালুর কথা প্রকাশ্যে আসতেই এই রাজনৈতিক বিতণ্ডা আরও প্রকট হয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুল গান্ধী নিয়মিত নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক আক্রমণের লক্ষ্য স্থির করেছেন। এর আগে গতবছরে মহারাষ্ট্র বিধানসভা ও তার পরে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএম কারচুপির অভিযোগও তুলেছিলেন রাহুল। মামলা গড়ায় আদালতেও। গতকাল মহারাষ্ট্র-এর দশটি বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত দলের রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ইভিএমের ডায়াগনস্টিক টেস্ট পরীক্ষার পর মক পোল করা হয়। যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ইভিএম ত্রুটিহীন বলে বিচার্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই এরপর রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে আর কোনওভাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন।