রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে। বিজেপির অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলা হয়েছে। গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে পাথর। লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।। এমনকি, শুভেন্দুকে নিশানা করে চোর চোর স্লোগানও দেওয়া হয়।
কোচবিহারে শুভেন্দুর মঙ্গলবারের কর্মসূচি আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। সঙ্গে সঙ্গেই ৫ অগস্ট তৃণমূলও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। তাদের দাবি ছিল, ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশের দিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযান করেছিল বিজেপি। তাই তাদের উচিত শিক্ষা দিতে কোচবিহারে শুভেন্দু যেদিন যাবে সেদিনই পাল্টা কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার কোচবিহারে ১৯ টি জায়গায় কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। শুভেন্দুর গাড়ি যখন খাগড়াবাড়ি মোড়ে যখন তৃণমূলের সভা চলছিল। সেই সময় শুভেন্দুর গাড়ি সেখানে আসে। এদিকে আগে থেকেই কালো পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা।
বিজেপির অভিযোগ, সেই মঞ্চ থেকেই তৃণমূল কর্মীরা দৌড়ে গিয়ে শুভেন্দুর কনভয়ে হামলা চালায়। গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়। ঘটনার সময় ওই গাড়িতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।
এদিন শুভেন্দুর পৌঁছনোর আগেই কোচবিহারের কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে এদিন মাথাভাঙা-২ ব্লকের ঘোকসাডাঙা হিমঘর চৌপথী এলাকায় কালো পতাকাও দেখায় তৃণমূল। তবে পুলিসি তৎপরতায় দ্রুত বিরোধী দলনেতার গাড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
খাগড়াবাড়ির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিজেপি তৃণমূলের রাজনৈতিক কাজিয়া।
জেলা পুলিশ সুপারের দফতর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছে তৃণমূল। শাসক দলকে মদত দিচ্ছেন পুলিশ সুপার।অভিষেক ব্যানার্জি ও উদয়ন গুহর নির্দেশে তাঁর উপর হামলা হয়েছে। এদের সঙ্গে আগামীদিনে কোর্টে দেখা হবে।’
তবে শুভেন্দুর বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘শুভেন্দুকে হেনস্থার ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।বিজেপির এক গোষ্ঠীর হাতেই হেনস্থা হয়েছেন সেই দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের নামে অযথা কালি ছেটানো হচ্ছে।’