এর আগেও এমনটা হয়েছিল, যাদের যঙ্গে যুদ্ধ সেই ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধিকে না রেখেই যুদ্ধ থামানোর বৈঠকে বসেছিল আমেরিকা আর রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। ব্যাপারটা এমন যেন ইউক্রেন একটা এলেবেলে। দুই মহাশক্তিধর মিলে একটা যুদ্ধ থামানোর কৌশল ঠিক করে ওদের উপর চাপিয়ে দিলেই হবে। সেই পথেই হাঁটতে চলা ট্রাম্প-পুতিনের এই বৈঠককে মোটেই মান্যতা দিতে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার জেলেনস্কি এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈঠক হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহু দূরে। এই যুদ্ধ আমাদের মানুষের বিরুদ্ধে চলছে। আমাদের ছাড়া, ইউক্রেন ছাড়া, এই যুদ্ধ শেষ হতে পারে না।”
ইউক্রেনের প্রসিডেন্ট জেলেনস্কির আশঙ্কা,সরাসরি আমেরিকা-রাশিয়া বৈঠকে এমন এক শান্তি চুক্তি হতে পারে যাতে রাশিয়ার দখলদারিত্বকে মেনে নেওয়া হবে। ইউক্রেনকে বিশাল ভূখণ্ড ছাড়তে বাধ্য করা হবে। এক্ষেত্রে জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনও শান্তি চুক্তি সম্ভব নয় এবং এমন চুক্তি হলে তা হবে একটি ‘মৃত সমাধান’।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বিস্তারিত না জানালেও ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে সম্ভাব্য চুক্তিতে ‘ভূখণ্ড বিনিময়’-এর বিষয় থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। তাঁর বার্তা, সেটি উভয়ের জন্যই ভাল হবে। যদিও জেলেনস্কির বার্তা, ইউক্রেন বাস্তব সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত, যা শান্তি বয়ে আনবে। ইউক্রেনীয়রা তাদের ভূমির দখলদারি কারও হাতে তুলে দেবে না।”
Leave a comment
Leave a comment