সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতৃত্বকে সুযোগ করে দেওয়ার বার্তা দিয়ে কংগ্রেসের বৈদেশিক বিষয়ক বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা।রবিবার শর্মা তাঁর পদত্যাগ পত্র কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি দলের নেতৃত্বকে কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথা জানিয়ে লেখেন “আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বৈদেশিক বিষয়ক কমিটিকে পুনর্গঠন করে সেখানে সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতাদের সুযোগ দেওয়া উচিত।… এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলের নেতৃত্বকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমি পদত্যাগ করছি, যাতে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া সহজ হয়।”
এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগে ও যুদ্ধ ঘোষণা করে জাতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট সরব কংগ্রেস। এমন অবস্থায় প্রায় চার দশক ধরে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক শাখার অন্যতম প্রধান মুখ, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এই সদস্যের নবীনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইন্দো-আমেরিকান পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আনন্দ শর্মা। প্রথম ভারত-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছেন তিনি। অন্যদিকে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালেই প্রথমবারের মতো বিশ্ব বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিদেশ ও বিদেশ নীতি নিয়ে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার নিরিখেই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ও সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্দুরের সময় তিনি ভারতের অবস্থান বিদেশে তুলে ধরেন।
এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সদস্য হিসেবেই থাকছেন আনন্দ শর্মা। ১৯৮০–এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ইন্ডিয়ান ইয়ুথ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দলের কাজের যে ব্যাটন আনন্দ শর্মা হাতে তুলে নিয়েছিলেন তা এবার প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ নেতাদের হাতেই তুলে দিতে চান তিনি।