বহু প্রতীক্ষিত ‘ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্নেন্স বিল’ সোমবার পাস হলো লোকসভায়। ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য একে স্বাধীনতার পর ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংস্কার বলে মন্তব্য করেন। বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই বিলটি ধ্বনিভোটের মাধ্যমে পাশ হয়।
সোমবার লোকসভায় জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং (সংশোধনী) বিল ২০২৫-ও পাশ হয়েছে, যার লক্ষ্য বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা (WADA)-র আপত্তির ভিত্তিতে NADA-র কার্যক্রমে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।
মন্ত্রী জানান, এই বিল দেশের ক্রীড়াঙ্গনে স্বচ্ছতা, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহির বাধ্যতা প্রতিষ্ঠা করবে। একইসঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি ক্রীড়া ব্যবস্থা গড়ে তুলবে, যা ভারতের ২০৩৬ অলিম্পিক গেমসে বিডের প্রস্তুতির অংশ।
ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে বিলের প্রথম খসড়া তৈরি হয়। কিন্তু রাজনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্রীড়াজগতকে ব্যবহার করে আসছে। ২০১১ সালে ন্যাশনাল স্পোর্টস কোড তৈরি হয় একটি নতুন বিল তৈরির উদ্দেশ্যে। এরপর মন্ত্রিসভাতে তাই নিয়ে আলোচনা হলেও সংসদে বিল পেশ করা হয়নি।
বিল অনুযায়ী, একটি জাতীয় ক্রীড়া বোর্ড (NSB) গঠন করা হবে, যা সব জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের কার্যক্রম তদারকি করবে।
যারা নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করবে না, সরকারি অর্থের অপব্যবহার করবে, তাদের স্বীকৃতি বাতিলের ক্ষমতা থাকবে NSB-র।
নতুনভাবে প্রস্তাবিত ন্যাশনাল স্পোর্টস ট্রাইবুনাল এর মাধ্যমে যাবতীয় বিরোধের নিষ্পত্তি করা হবে।ট্রাইবুনালের রায় শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যাবে।
এই বিল অনুযায়ী, সমস্ত সরকারি অর্থে পরিচালিত জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা এখন থেকে তথ্য জানার অধিকার (RTI) আইনের আওতায় আসবে। তবে BCCI-র মতো সংস্থা যারা সরকার থেকে অনুদান নেয় না, তাদের ক্ষেত্রে RTI প্রযোজ্য হবে না।
জাতীয় ক্রীড়া কোডে যেখানে প্রশাসকদের বয়সসীমা ৭০ বছর নির্ধারণ ছিল, সেখানে এই বিলে তা বাড়িয়ে ৭৫ বছর করা হয়েছে।