আইএফএ-র কলকাতা লিগের ম্যাচে মাঠে নামল না মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। বুধবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ মেসারার্সের ফুটবলাররা মাঠে নেমে অপেক্ষা করলেও, দেখা মেলেনি সবুজ মেরুণের ফুটবলারদের। লিগের ম্যাচ না খেলায়, কিন্তু শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে মোহনবাগানকে। ম্যাচ রেফারি শুভজিত ধাড়ার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বৈঠক করে শাস্তির নিদান চূড়ান্ত করবে নিয়ামক সংস্থা আইএফএ।
বুধবার পূর্ব ঘোষণা মতোই ডুরান্ডের মধ্যে লিগের বাকি ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে ময়াদানের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব দল। ডুরান্ড ফুটবলের নকআউট পর্বে ওঠা মোহনবাগান ফুটবলারদের চোট-আঘাতের আশঙ্কা তুলে ধরে আপাতত লিগ ম্যাচ না খেলার কথা জানিয়েছিল। নিয়ামক সংস্থা আইএফএ-র কাছে পাঠিয়েছে দু-দুটি চিঠি। লিগ ও ডুরান্ড, পাশাপাশি দুটি টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ফুটবলররা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল চিঠিতে। মোহনবাগানের বক্তব্য ছিল, খুব বেশি হলে ডুরান্ডে আর মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলতে হতে পারে তাদের। সেই ম্যাচগুলি শেষ হলেই কলকাতা লিগে নামবে দল।
আইএফএ কিন্তু মোহনবাগানের এমন আবেদনে সাড়া দেয়নি। তারাও পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে ম্যাচের তারিখ শেষমুহূর্তে বদল করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে স্মরণ করিয়েছে, ডুরান্ডের সূচি তৈরির সময় লিগের ম্যাচ না খেলার কথা কিন্তু জানানো হয়নি কলকাতার ক্লাবগুলির তরফ থেকে। লিগের ম্যাচ এবং ডুরান্ড ম্যাচের মাঝে ৩-৪ দিনের বিরতির কথাও উল্লেক করেছে আইএফএ। আইএফএ কর্তাদের বক্তব্য ফুটবলারদের বিশ্রামেরও সময় দেওয়া হয়েছে।
দু-পক্ষের এমন চিঠি-চাপাটির মাঝেই লিগের ম্যাচটি কিন্তু হয়নি। তবে নৈহাটি স্টেডিয়ামে কিন্তু হাজির ছিল মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ। নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে মাঠেও নেমে পড়েন মেসারার্সের ফুটবলাররা। টিম লিস্ট জমা দিয়ে শুরু করেছিল ওয়ার্ম আপ। দুই সহকারিকে নিয়ে হাজির ছিলেন রেফারি। ছিলেন ম্যাচ কমিশনারও। কিন্তু দেখা মেলেনি মোহনবাগানের ফুটবলার কিংবা কর্মকর্তাদের।
লিগের এই ম্যাচটি ভাগ্য এখন নির্ধারিত হবে আইএফ এর লিগ কমিটির বৈঠকে। কমিটি সদস্যরাই চূড়ান্ত করবেন মেসারার্সকে ওয়াক ওভার দেওয়া হবে কিনা। একই সঙ্গে ম্যাচ না খেলায় কেমন শাস্তি মিলবে মোহনবাগানের।