পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে লাল কেল্লা থেকে সাফ বার্তা দিলেন কোণঠাসা শত্রু রাষ্ট্রকে। সাফ জানিয়ে দিলেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং কৃষকদের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ ভারত। বলেছেন, জল আর রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।
পাহেলগাঁও কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। যার জেরে রীতিমতো সংকটে শত্রু রাষ্ট্র। ইসলামাবাদ সম্প্রতি স্থগিত সিন্ধু জলচুক্তি চালু করার আর্জি নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিল ভারতের। আগের মতো জলপ্রবাহ স্বাভাবক করার অনুরোধও করেছে। এমন আবহেই উল্টো সুর পাক সেনাপ্রধান, অসীম মুনিরের গলায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল, রীতিমতো হুমকির সুরে বলেছেন, সিন্ধু নদের জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে তা স্বাভাবিক করতে তাদের বেশি সময় লাগবে না। কারণ, পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্রের কোনও অভাব নেই।
মার্কিন সফরে শুধু এটুকু বলেই থেমে থাকেননি অপারেশন সিঁদুরে পর্যুদস্ত হওয়া পাক সেনাপ্রধান মুনির। রীতমতো ব্ল্যাকমেলের সুরে পারমাণবিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। বলেছেন, ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে, অস্তিত্ব সংকট হলে অর্ধেক বিশ্বকে ধ্বংস করা হবে।
মার্কিন সফরে মুনিরের এই পরমানু যুদ্ধের হূঁশিয়ারি শুক্রবার সীমান্তের ওপারে ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছন, “ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। শত্রু যদি আর কোনও দুঃসাহসিক কাজ করার সাহস করে, তাহলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে , রক্ত ও জল একসঙ্গে প্রবাহিত হবে না। “
স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি সাফ জানালেন, সিন্ধু জল চুক্তি ভারতের জনগণের প্রতি অবিচার ছিল। ভারতের নদ-নদীগুলি শত্রু দেশকে সেচ দিচ্ছে, অথচ নিজের দেশের কৃষকরা জল থেকে বঞ্চিত। এখন থেকে ভারতের নদ-নদীর জলের অধিকার কেবলমাত্র তার দেশ ও কৃষকদের স্বার্থে। এই নিয়ে কোনও আপস বা চুক্তি আর গ্রহণযোগ্য নয়।