এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই প্রধানের বৈঠক ঘিরে নজর গোটা বিশ্বের।সেই ২০২২ সাল থেকে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর সমাধান খুঁজতে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই শীর্ষ নেতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই হাই প্রোফাইল আলোচনার টেবিল পাতা হয়েছে আলাস্কার অ্যানকারেজ শহরের জয়েন্ট বেস এলমেনডর্ফ – রিচার্ডসনে।এটি হল আলাস্কার বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি এবং ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালে সোভিয়েত ইউনিয়নের উপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত একটি কেন্দ্র।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যানকারেজ শহর এখন অঘোষিত দুর্গে পরিণত হয়েছে।ঘাঁটির আশেপাশের সব হোটেল সম্পূর্ণ বুক করে রাখা হয়েছে।যাতায়াতের জন্য মিলছে না ক্যাব পরিষেবাও। বাণিজ্যিক উড়ানে তেমন বিধিনিষেধ না থাকলেও অস্থায়ী উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফেডারেল প্রশাসন।
২০২২-এ ইউক্রেনে আক্রমণের নির্দেশ দেওয়ার পর এই প্রথম পশ্চিমী দুনিয়ায় পা রাখছেন ভ্লাদিমির পুতিন। অ্যানকারেজে এর আগে পোপ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের মত হেভিওয়েটরা এলেও এই বৈঠককে শহরের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় ঘটনা’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্প প্রথমে কেবল দোভাষী নিয়ে একান্তে বৈঠক করবেন। তারপর সহকারীদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী আলোচনায় বসবেন।প্রশ্ন হল যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেতুলের এই বৈঠকে কী সমাধান সুত্র মিলবে? ট্রাম্প যদিও জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন যদি যুদ্ধবিরতি না মানেন তবে ‘খুবই কঠোর পরিণতি’ হবে। অন্যদিকে এতদিন পর্যন্ত আপসের কোনও লক্ষণ না দেখানো রুশ প্রধান তবুও আলাস্কায় বৈঠকে সম্মত হয়েছেন।এর ফলাফল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
Leave a comment
Leave a comment