জশপ্রীত বুমরাহকে এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা জোরে বোলার বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে এটাও দাবি করা হয় যে, ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই সম্ভবত সর্বকালের সেরা পেসার। অস্বাভাবিক রান আপ তথা অ্যাকশন এবং চোট প্রবণতাও পিছু হটাতে পারেনি বুমরাহকে। এই সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর গড় ২০ -এর কম এবং ওয়ানডেতে ২৩-এর কিছু বেশি।
২০১৬ সালে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিল ভারত। তখনই দেশের জার্সিতে অভিষেক ঘটে বুমরাহ’র। সেই দলের অন্যতম সদস্য ইশান্ত শর্মা এ বার ফাঁস করলেন এক গোপন কথা।
ইশান্ত জানিয়েছেন, জাতীয় দলে বুমরাহ’র সুযোগ পাওয়ার নেপথ্যে সূক্ষ্ম অবদান ছিল তাঁরও। তিনিই প্রথম বুমরাহ’র নাম সুপারিশ করেছিলেন রবি শাস্ত্রীর কাছে। যিনি সেই সময় টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
সম্প্রতি পদমজিৎ শেরাওয়াতের ইউটিউব চ্যানেলে হাজির হয়েছিলেন ইশান্ত। ভারতের হয়ে ১০৫ টি টেস্ট খেলা বোলার সেখানে আরও জানিয়েছেন যে সে সময় মোটেই আজকের মত অস্বাভাবিক বোলিং অ্যাকশন ছিল না বুমরাহ’র। ইশান্তের কথায়, “আমার মনে আছে আমরা একটি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলছিলাম। আমরা বেঙ্গালুরুতে ফাইনাল খেলছিলাম। দিল্লি বনাম গুজরাট। সেই সময় বুমরাহ আর পাঁচজন ফাস্ট বোলারের মতই দৌড়ে আসত। ওর রান আপ আজকের মত ছিল না।”
ইশান্ত যে ম্যাচের কথা বলছেন সেটি ছিল ২০১৫-১৬ মরশুমের বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনাল। ২১ বছর বয়সি বুমরাহ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে জেতান গুজরাটকে। সেই বুমরাহ-ই আজ বিশ্বের এক নম্বর বোলার। ইশান্ত বলেন, “এরপর আমরা অস্ট্রেলিয়া গেলাম। আমি রবি ভাইকে (রবি শাস্ত্রী) বলেছিলাম, ‘আমাদের এই দলে যদি কাউকে দরকার হয়, তাহলে তিনি হলেন জশপ্রীত বুমরাহ।’ আমি তাকে বুমরাহর অ্যাকশন এবং তার বোলিং সম্পর্কে জানিয়েছিলাম। রবি ভাই তখন দলের পরামর্শদাতা ছিলেন।”
সেই অস্ট্রেলিয়া সফরের পঞ্চম ওয়ানডেতে ভারতের হয়ে অভিষেক হয় বুমরাহ’র। সেই ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ইশান্ত মনে করেন ভাগ্যের জোরেই এই সুযোগ পেয়েছিলেন বুম বুম। বলেন, “ওর (বুমরাহ’র) ভাগ্যের দিকে তাকান। কেউ একজন আহত হয়েছিল। তাঁর পরিবর্তে বুমরাহ দলে এসেছিল। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত মানসিকতা এবং আত্মবিশ্বাসে ভর দিয়ে ও এগিয়ে চলেছে।”