“শিশুদের কথা ভাবুন।” ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনকে খোলা চিঠি দিলেন ট্রাম্প-জায়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি লিখেছেন, যেখানে ইউক্রেনে শান্তির বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই চিঠি আলাসকায় ‘ট্রাম্প-পুতিন’ বৈঠকের সময় তাঁর স্বামী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প নিজের হাতে পুতিনের হাতে তুলে দেন।
চিঠিতে সরাসরি ‘ইউক্রেন’ শব্দটি উল্লেখ না থাকলেও, ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপট স্পষ্ট। চিঠিতে মেলানিয়া বলেন, “শিশুদের কথা ভাবুন এবং সেই নিষ্পাপত্বের কথা মনে রাখুন যা ভৌগোলিক সীমা, সরকার কিংবা মতাদর্শের ঊর্ধ্বে।”
তিনি যুদ্ধ বা সংঘর্ষ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে পুতিনকে উদ্দেশ করে লেখেন, “আপনি একক সিদ্ধান্তেই ফিরিয়ে আনতে পারেন সেই সুরেলা শিশুহাসি, যা আজ যুদ্ধে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এই শিশুদের নিষ্পাপত্ব রক্ষা করে আপনি কেবল রাশিয়ার সেবা করছেন না, আপনি সেবা করছেন গোটা মানবজাতির।”
চিঠির একটি অনুলিপি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা ও অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি সহ অন্যান্য অনেকে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, শনিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপে, এই মানবিক বার্তার জন্য মেলানিয়া ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রিয়ি সিবিহা। তিনি বলেন, “এটি একটি সত্যিকারের মানবিকতা প্রদর্শনের উদাহরণ।”
এদিকে, রাশিয়ার দাবি তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শিশুদের রক্ষা করছে। কিন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানিয়েছে, “রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয় শিশু কষ্ট ভোগ করেছে এবং তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইতিমধ্যেই পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ইউক্রেন থেকে শিশু অপহরণের ঘটনায় পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী।