জট কাটেনি ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ১ নম্বর টুর্নামেন্ট আইএসএল-এর। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পর্বে স্থগিত আইএসএল-এর বিষয়টি ফের তোলা হয়। শুনানি পর্বে, আদালতবন্ধুই (Amicus Curiae) বিষয়টি মৌখিকভাবে উত্থাপন করেন। এবং সেখান আইএসএলের ক্লাবগুলির সমস্যা ও অচলাবস্থার কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে এআইএফএফ-এর আইনজীবীরাও জাতীয় ক্রীড়া বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। শীর্ষ আদালত যাবতীয় বিষয়টি এবার লিখিত আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ২২ আগস্ট পরবর্তী শুনানির আগেই সেগুলি যেন জমা করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপ তাদের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তুলে ধরেছে এআইএফএফ। বিবৃতিতে ফেডারেশন লিখেছে, তারা এই সুযোগে আইএসএল-এর বাণিজ্যিক ধারাবাহিকতার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে। একই সঙ্গে দেশের ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ স্তরের লিগটির ভবিষ্যত কাঠামোও চূড়ান্ত করা হবে। কারণ চলতি মরসুমের আইএসএল স্থগিত থাকায় অংশীদারদের স্বার্থ যেমন যথেষ্টই বিঘ্নিত হয়েছে, তেমনি ঝুঁকির মুখে তাঁদের ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের জীবন-জীবিকা।
প্রসঙ্গত, মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট পুনর্নবীকরণ ঘিরে এআইএফএফ এবং এফএসডিএলের টানাপোড়েন গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর জেরে এআইএফএফ-এর খসড়া সংবিধানের উপর তাদের রায় সংরক্ষণ করে রেখেছে শীর্ষ আদালত। স্বভাবতই স্থগিত থাকা আইএসএল টুর্মামেন্টের জট কাটাতেই চলছে শীর্ষ আদালতের শুনানিপর্ব। আগামী শুক্রবার পরবর্তী শুনানি। আর তার আগেই আইএসএল ক্লাব ও ফেডারেশনকে তাদের যাবতীয় সমস্যার কথা লিখিত আকারে জমা দিতে হবে।
সেই ২০১০ সালে আইএসএল আয়োজক এফএসডিএলের সঙ্গে এআইএফএফ-এর ১৫ বছরের এক মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যেটি পুনর্নবীকরণ না হওয়ায় তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যার জেরেই আইএসএল আয়োজক এফএসডিএল গত ১১ জুলাই ২০২৫-২৬ টুর্নামেন্ট আপাতত শুরু না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। লিগ স্থগিত রাখা হলেও ফেডারেশন কিন্তু ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শুরুতে সুপার কাপ করার প্রস্তাব দিয়েছে।