মহারাষ্ট্রে টানা প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। গত চার দিনে বৃষ্টি ও বন্যা-সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চতুর্থ দিনের মতো মুম্বই, থানে, পালঘর, কোকণসহ একাধিক জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নান্দেড জেলা, যেখানে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আইএমডির তথ্য অনুযায়ী, মুম্বই শহরে রেকর্ড ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ফলে শহরের স্বাভাবিক জীবন সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত।
আবহাওয়া দফতর আজ বিদর্ভ অঞ্চলের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। নিরাপত্তার কারণে পুনে-মুম্বই রুটে সমস্ত ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। থানে ও রায়গড় জেলায় আজ স্কুল ও কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পতন, জাওলি, মহাবালেশ্বর, ওয়াই, সাতারা ও কারাড মহকুমার সমস্ত প্রাথমিক স্কুল আজ ও আগামীকাল বন্ধ থাকবে। এই অঞ্চলের জন্য জারি হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।
এদিকে, মিঠি নদী বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলায় প্রায় ৩৫০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মোদক সাগর বাঁধ ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ পূর্ণ, ফলে এই অঝোর ধারায় বৃষ্টি চলতে থাকলে আজই বাঁধ উপচে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, ভৈতর্ণা নদীর তীরবর্তী গ্রাম ও এলাকার বাসিন্দাদের সাবধান থাকতে হবে।
এছাড়া, কোয়না বাঁধের ছয়টি বাঁকানো গেট খোলা হয়েছে, যার ফলে নদীর তলদেশে ৯৩,২০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। হঠাৎ জল ছাড়া হলে বড় ধরনের বিপর্যয় এড়াতে সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে প্রয়োজনীয় পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে টানা বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রশাসন সর্বস্তরে সতর্কতা বজায় রাখছে।