মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণনের সমর্থনে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এসপি) প্রধান শরদ পওয়ার এবং শিবসেনা (ইউবিটি) সভাপতি উদ্ধব ঠাকরেকে অনুরোধ করেছেন।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফড়নবিশ জানান, শরদ পওয়ার বিরোধী জোটের প্রার্থীকে সমর্থন করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। তবে উদ্ধব ঠাকরে এখনও চূড়ান্ত মত জানাননি।
ফড়নবিশ বলেন, “আমি উদ্ধবজি এবং শরদজি দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছি। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণনকে উপরাষ্ট্রপতি পদে সমর্থন করার অনুরোধ জানিয়েছি। শরদজি জানিয়েছেন, তিনি বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গেই থাকবেন। তবে উদ্ধবজি বলেছেন, তিনি এই নিয়ে দলের ভিতরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
ফড়নবিশ বৃহস্পতিবারই এই দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর আগে, শিবসেনা (ইউবিটি)-র নেতা সঞ্জয় রাউত জানান, শুধু ফড়নবিশই নন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও উদ্ধব ঠাকরেকে ফোন করে সমর্থন চেয়েছেন।
এনসিপি (এসপি) ও শিবসেনা (ইউবিটি) বর্তমানে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) জোটের অংশ। জাতীয় স্তরে তারা বিরোধী INDIA ব্লক-এর সঙ্গেও যুক্ত।
সূত্রের খবর, ফড়নবিশ কথোপকথনে তুলে ধরেছেন যে, রাধাকৃষ্ণন মহারাষ্ট্রের নিবন্ধিত ভোটার। তাই মহারাষ্ট্রের স্বার্থে তাদের সমর্থন চেয়েছেন।
লোকসভায় শিবসেনা (ইউবিটি)-র ৯ ও এনসিপি (এসপি)-র ১০ জন সাংসদ রয়েছে। রাজ্যসভায় দুই দলেরই ২ জন করে সদস্য।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরা ভোট দেন। মনোনীত সদস্যেরাও ভোট দিতে পারেন। সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট সাংসদ ৭৮১ জন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৯১ জন সাংসদের সমর্থন। সংখ্যার বিচারে এমনিতেই গেরুয়া শিবির শতাধিক ভোটে ইন্ডিয়া ব্লকের থেকে এগিয়ে। শুধু ভোটের ব্যবধান বাড়ানোই নয়, রাজনাথ, দেবেন্দ্রদের এই উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরানো।
