স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। সেই সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এক যুবক। ধারালো অস্ত্রের কোপে আলাদা হয়ে গেল কব্জি। ভয়াবহ ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে।
পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ফুলবেড়িয়া গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে দক্ষিণ ফুলবেড়িয়া গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষক গোকুল চন্দ্র মুড়ার নাবালিকা মেয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ৪ বছর আগে।থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল পাশের পাড়ার যুবক নন্দ মুড়া তাঁর মেয়েকে নিয়ে গেছে এবং মেয়েকে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে আরও অনেকে।
শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে ভগবানপুর থানার পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে ওই নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করেছিল অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়। পরে শিক্ষক ওই মামলা তুলে নেন বলে জানা যায়।
এরপর সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ প্রাথমিক শিক্ষক গোকুল চন্দ্র মুড়া যখন স্কুল যাচ্ছিলেন, সেই সময় কাটারি হাতে নন্দ মুড়া শিক্ষকের গলায় আঘাত করতে যায় বলে অভিযোগ।
শিক্ষক নিজের গলা বাঁচাতে মাথা সরিয়ে ডান হাত দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। সেই সময় কাটারির কোপ ডান হাতের কব্জিতে লাগে অর্থাৎ হাতের পাঞ্জা কেটে উড়ে যায়।শিক্ষক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা রক্তাক্ত, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় শিক্ষককে ভগবানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে রেফার করেন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কাটারি ও কাটা ডান হাতের পাঞ্জা উদ্ধার করে। অভিযুক্ত যুবক নন্দ মুড়া পলাতক।পুলিশ নন্দর খোঁজ চালাচ্ছে গোটা এলাকায়।এই ঘটনায় দক্ষিণ ফুলবেড়িয়া গ্রাম সহ গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।