ঝাড়খণ্ডে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে উঠল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা চম্পাই সোরেনকে রবিবার সকালে গৃহবন্দি করেছে পুলিশ। রাঁচিতে প্রস্তাবিত রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জন্য জমি নেওয়ার বিরোধিতা করে আদিবাসী সংগঠনগুলি বিক্ষোভের ডাক দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে ভেবে প্রশাসন আগাম পদক্ষেপ নেয়।
রাঁচি শহরের ডেপুটি এসপি কে ভি রমন বলেন, “আদিবাসী সংগঠনগুলির আন্দোলনের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা ছিল। তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। কৌশলগত জায়গায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে যাতে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
শুধু চম্পাই সোরেন নন, তাঁর পুত্র বাবুলাল সোরেনকেও রবিবার সমর্থকদের সঙ্গে রাঁচির পথে আটক করে পুলিশ। তাঁদের স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
গৃহবন্দি হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে চম্পাই সোরেন বলেন, “আমাকে গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। আমি কেবল আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাঁদের ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। সরকার আদিবাসীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।”
প্রস্তাবিত রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জন্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আদিবাসী সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় জনজাতি সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়নি। এই প্রকল্প রূপায়িত হলে গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারকে অবিলম্বে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া থামাতে হবে এবং আলোচনায় বসতে হবে।
গৃহবন্দি ও আটক নিয়ে রাঁচি এবং আশপাশের এলাকায় ইতিমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না মেলে, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।