লেক টাউন হনুমান মন্দিরে চুরির ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে লেক টাউন থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া সমস্ত সামগ্রী সহ বিগ্রহের যাবতীয় গহনা। যদিও এক অপরাধী এখনও পলাতক। গণেশ চতুর্থীর সকালে হনুমান মন্দিরের চুরির ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নত ৪ অপরাধীর মধ্যে একজন এখনও উধাও।
বিধাননগর পুলিশ সাব ডিভিশনের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার মণীশ যোশী জানিয়েছেন, চুরির আগে, হনুমান মন্দিরটি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছিল দুষ্কৃতিরা। তদন্তে নেমে লেকটাউন থানার পুলিশ ও ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট এর অফিসাররা দিন তিনেকের মধ্যে চুরি যাওয়া সব সামগ্রী উদ্ধার করার পাশাপাশি ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পলাতক বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার গভীর রাতে লেক টাউনের হনুমান মন্দির থেকে বহু মূল্যবান সামগ্রী ও রূপোর গহনা চুরি করে চম্পট দিয়েছিল ৪ দুষ্কৃতি। মন্দিরের ভিতরে চুরি করার ছবিও ধরা পড়েছে সেখানকার সিসিটিভিতে। দেখা যায় দীর্ঘ সময় ধরে দুষ্কৃতীরা মন্দিরের ভেতরেই ছিল। সোনা, রুপোর গহনা, বিগ্রহের মুকুট সহ দান পাত্রর সব টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চোরের দল।
ঘটনার সেই সিসিটিভি ফুটেজ লেকটাউন থানায় জয় দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে হনুমান মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফুটেজ দেখেই দক্ষিন ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকার চন্দনেশ্বর থেকে ২ জন ও পরে সোনারপুর থানার সুভাষগ্রাম অঞ্চল থেকে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত অভিযুক্তদের নাম পরান আলি সর্দার, বাপি মাঝি, সোনাই দাস। ধৃতদের আদালতে তুলে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই কুখ্যাত দুষ্কৃতি বলে পুলিশের দাবি।