নেইমারের বিরুদ্ধে খেলা রবসন রবিনহো কোন শিবিরে যোগ দেবেন? ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগান? এই নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। শোনা যাচ্ছিল, ক্লেটন সিলভার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ডকে সই করাতে চলেছে লাল-হলুদ শিবির। তবে তার আগেই তলে তলে বাজিমাত করল গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাব। শনিবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ষষ্ঠ বিদেশি হিসেবে দলে যোগ দিচ্ছেন রবসন রবিনহো।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু’র আগে ব্রাজিলীয় তারকা সোমবারই শহরে পা রাখতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি করেছে মোহনবাগান। উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগেই সাও পাওলো লিগে নেইমারের বিরুদ্ধে খেলেছেন রবসন। অন্যদিকে গত তিন বছরে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের হয়ে জিতেছেন মোট ৭টি ট্রফি। সেই সময় মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও খেলেছেন। এমনকি গোলও করেছেন।
মোহনবাগানে সই করার পরও সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন রবসন। সাক্ষাৎকারে বলেন, “বসুন্ধরার হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছি এর আগে। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, মোহনবাগান ভারতের সবথেকে ঐতিহ্যবাহী এবং সফলতম ক্লাব। আশা করি, সেই ম্যাচে আমার পারফরম্যান্স সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মনে আছে। এবার সেই জার্সি গায়ে চাপিয়ে আরও বড় সাফল্য এনে দিতে চাই।” এ ছাড়া মোহনবাগানের সাম্প্রতিক সাফল্য নিয়েও কথা বলতে শোনা গিয়েছে রবসনকে।
গত মরশুমে মোহনবাগানের জোড়া ট্রফি জয় নিয়ে রবসন বলেন, “মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস গত বছর ভারতের দুটি সেরা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গত ৫ বছরে ওদের সাফল্যের যা ধারাবাহিকতা তা আর অন্য কোনও ক্লাবের নেই। সেরা বিদেশিরা এখানে খেলেন। জাতীয় দলেরও বহু ফুটবলার এই ক্লাবের অংশ। এবার আমি তাদের একজন সতীর্থ হতে চলেছি। দলের পাশে থেকে আরও ট্রফি জেতাই লক্ষ্য আমার।”
পাশাপাশি এও বলেন, “গোল করতে যেমন ভালবাসি। তেমনিই গোল করাতেও। গোল করে দলকে সাফল্য এনে দেওয়াটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।”
কথা ওঠে নেইমার প্রসঙ্গেও। সম্প্রতি ব্রাজিলীয় মহাতারকা নেইমারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন রবসন। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “নেইমারের বিরুদ্ধে খেলাটা আমার কাছে সম্মানের। গত ফেব্রুয়ারিতে সাও পাওলো লিগের এক ম্যাচে ওঁর মুখোমুখি হয়েছিলাম। সেই দিনটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।”