আমেরিকান কনজারভেটিভ নেতা চার্লি কার্ককে হত্যার ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি আসলে একটি বোল্ট-অ্যাকশন রাইফেল। এই ধরনের রাইফেল সাধারণত শিকারি ও টার্গেট শুটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর বিশেষত্ব হল প্রতিবার গুলি চালানোর পর শ্যুটারকে হাত দিয়ে রাইফেলের “বোল্ট” টেনে আবার সেট করতে হয়। অর্থাৎ একসঙ্গে এক রাউন্ড গুলি চালানো যায়, তারপর আবার নতুন গুলি চেম্বারে ভরতে হয়।
অবসরপ্রাপ্ত মেরিন অফিসার হ্যাল কেম্পফার জানান, এই বন্দুক নির্ভরযোগ্য ও সহজ হলেও দ্রুত পরপর গুলি চালানো যায় না। এতে গুলি খালি হয়ে গেলেও অনেক সময় বন্দুকের খোল বাইরে বের হয় না। ফলে ঘটনাস্থলে পুলিশের হাতে কোনও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য খালি কার্তুজও আসেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি জঙ্গলে বন্দুকটি ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারী। এখন তদন্তকারীরা রাইফেলের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। কে এই রাইফেল কিনেছিল, এই রাইফেল কোথা থেকে এসেছে এবং কার হাতে গিয়েছিল? কেম্পফারের মতে, হয়তো “স্ট্রো বায়ার” বা ভুয়ো ক্রেতার মাধ্যমে বন্দুকটি সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কার্ককে যে দূরত্ব থেকে গুলি করা হয়েছে, তা শিকারিরা সহজেই করে থাকে। তাই আলাদা কোনও পেশাদার স্নাইপারের দরকার হয়নি। আবহাওয়া ভালো ছিল এবং শ্যুটারের অবস্থান সুবিধাজনক ছিল বলে সফলভাবে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে।