মার্কিন মুলুকে ভারতীয় নাগরিককে নৃশংসভাবে খুন। রীতিমতো তাড়া করে প্রকাশ্যে ধারালো চপার দিয়ে মুণ্ডচ্ছেদ করেছে খুনি। শুধু তাই নয়, কাটা মুণ্ডে লাথি মেরে রাস্তাতেও ফেলেছে। পরে হাত দিয়ে সেটি তুলে ফেলেছে আবর্জনার কন্টেনারে। হত্যাকারীকে ডালাস পুলিশ গ্রেফতার করলেও গোটা ঘটনায় সেখানকার ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে গভীর শোক ও তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে হিউস্টনের ভারতীয় দূতাবাস। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে ”টেক্সাসের ডালাসে নিজের কর্মস্থলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে চন্দ্রমৌলি নাগামালিয়াকে। আমরা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। তাঁদের সবরকম সাহায্য করছে কনসুলেট। আপাতত ডালাস পুলিশের হেফাজতে রয়েছে চন্দ্রমৌলির খুনি। আমরা গোটা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণও চালাচ্ছি।”
ডালাস পুলিশ সূত্রে খবর, কর্ণাটকের বাসিন্দা বছর ৫০ এর চন্দ্রমৌলি নাগামালিয়া ডালাসের রাস্তার ধারে এক মোটেলে কাজ করতেন। সেই মোটেলেই কাজ নিয়েছিল খুনি ইয়োদার্নিস কোবোস মার্টিনেজ। বছর ৩৭ এর কিউবান নাগরিক একজন দাগি অপরাধী। জেলবন্দি এই অপরাধী ছাড়া পেয়েছিল ট্রাম্পের উতরসূরি বাইডেনের আমলে। দাগি অপরাধীকে ফিরিয়ে নেয়নি কিউবা। তাই মার্কিন মুলুকেই ঘাঁটি গেড়েছিল কোবোস মার্টিনেজ।
জানা গিয়েছে, ইয়োর্দানিস কোবোস মার্টিনেজ নামে এক কর্মচারীকে চন্দ্রমৌলি ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার না করতে বলেছিলেন। কিন্তু সরাসরি না বলে অন্য এক মহিলা কর্মচারীর মাধ্যমে মার্টিনেজকে এই বার্তা দেন চন্দ্রমৌলি। এই আচরণেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মার্টিনেজ। ধারালো চপার নিয়ে চন্দ্রমৌলিকে তাড়া করে সে। পার্কিং লট দিকের দৌড়ে বাঁচার চেষ্টা করেন চন্দ্রমৌলি। কিন্তু তাড়া করে ধরে ফেলে মার্টিনেজ। মাটিতে ফেলে পরপর কোপাতে থাকে।
চন্দ্রমৌলিকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেয় খুনি মার্টিনেজ। সেই কাটা মাথা নিয়ে কার্যত ফুটবল খেলে। মুণ্ড গড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। রাস্তা থেকেই সেটি তুলে নিয়ে ডাস্টবিনেও ফেলে দেয়। গোটা ঘটনার সময়ে মার্টিনেজকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সেখানে থাকা চন্দ্রমৌলির স্ত্রী এবং পুত্র। খুনের পর পালাতে গিয়ে রক্তমাখা চপার সহ ধরা পড়েছে খুনি। আপাতত তাকে গ্রেফতার করেছে ডালাস পুলিশ। পুলিস সূত্রে খবর খুনের কথা স্বীকারও করেছে কিউবান নাগরিক। খুনের পাশাপাশি অনুপ্রবেশের অভিযোগও আনা হয়েছে মার্টিনেজের বিরুদ্ধে।