পুজোর মুখে মেট্রো রেলের ব্লু লাইনের যাত্রীদের কাছে দুঃসংবাদ। শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে টালিগঞ্জ তথা মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন পর্যন্ত ৩২ টি পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকবে। মেট্রোর অপারেশন্যাল সমস্যার (Operational Issue) কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। ফলে নেতাজি, মাস্টারদা সূর্য সেন, গীতাঞ্জলি, কবি নজরুল এবং শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনগুলি থেকে যাঁরা যাতায়াত করেন তাঁদের ভোগান্তি বাড়বে।
কলকাতা মেট্রো রেলের ব্লু লাইন তথা নর্থ-সাউথ মেট্রোই হল সবথেকে পুরনো। সেই নিউ গড়িয়া তথা কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত এর রুট। বর্তমানে মেট্রো রেলের এই রুটে দৈনিক পরিষেবা মেলে ২৭২টি। ২৭২ টি পরিষেবাই চালু থাকবে দক্ষিণেশ্বর থেকে টালিগঞ্জ তথা মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন পর্যন্ত। এরমধ্যে শুধু ৩২ পরিষেবাই স্থগিত রাখা হয়েছে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত।
নিউ গড়িয়া তথা কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে ফাটল ধরা পড়ার পরপরই ভোগান্তি শুরু হয়েছিল ব্লু লাইন মেট্রোর। গত ২৮ জুলাই থেকে কবি সুভাষের বদলে, শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনকেই টার্নিমাল স্টেশন বানিয়ে নর্থ-সাউথ মেট্রো চলাচল চালু থাকে। কিন্তু ট্র্যাক চেঞ্জ করা ঘিরে সমস্যা দেখা দেয় এর পরপরই। বিগত দিনগুলিতে মেট্রোর রেকগুলি যখন তখন আটকে যেতে থাকে নতুন টার্মিনালে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মেট্রো রেলের নিত্যযাত্রীরা। শহিদ ক্ষুদিরাম টার্মিনাল স্টেশন হলেও ট্র্যাক বদল করতে কবি সুভাষ থেকেই ঘুরতে হচ্ছে রেকগুলিকে।
পিক আওয়ারে ৫ মিনিট এবং নন পিক আওয়ারের ৭ মিনিট ফ্রিকোয়েন্সি বজায় রাখাও রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়ে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। গত বৃহস্পতিবার একটি রেক বিপরীত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ ট্র্যাকের চলমান অংশ, যাকে সুইচও বলা হয় সেটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। তাছাড়া রেকের ট্র্যাক বদলের ক্ষেত্রে পড়ে থাকা শুকনো পাতা, গাছের ডালপালাই সমস্যা বাড়ায়।
চলতি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের জন্যেও উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো রেলের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে কয়েক ঘণ্টা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.২০ থেকে দুপুর ১২.৫০ পর্যন্ত শহীদ ক্ষুদিরাম-টালিগঞ্জ সেকশনে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর ক্যাসকেডিং প্রভাবের রেশ ছিল ২ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে।
পুজোর মুখে এবং পুজোর সময় বাড়তি ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই আপাতত টালিগঞ্জ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত ৩২ টি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নর্থ-সাউথ মেট্রো রেল। ব্লু লাইন কর্তারা যাত্রীদের কাছ থেকে সহযোগিতাও প্রার্থনা করেছেন।