ভারতের নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি সি পি রাধাকৃষ্ণন শুক্রবার সকালে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে দায়িত্বের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এনডিএ সূত্রে জানা গেছে, ‘পণ্ডিত’-রা যে সময়টিকে শুভ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেই সময়েই শপথ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এনডিএ-র পাশাপাশি বিরোধী শিবির সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন মঙ্গলবার ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ৪৫২ ভোট পান। অপরদিকে বিরোধী জোটের প্রার্থী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০ টি ভোট।
রাজ্যসভার সচিালয়ের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ৭৮১ জন সাংসদের মধ্যে ৭৬৭ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫২টি ভোট বৈধ এবং ১৫টি ভোট অবৈধ বলে গণ্য হয়েছে। ফলে প্রথম পছন্দের ভোটের প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নির্ধারিত হয় ৩৭৭-এ।
এনডিএ কাগজে-কলমে ৪২৭ সাংসদের সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু ওয়াইএসআরসিপি-র ১১ জন সাংসদও রাধাকৃষ্ণনকে ভোট দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রত্যাশার চেয়ে ১৪ ভোট বেশি পেয়েছেন। এই বাড়তি ভোটকে ঘিরে বিরোধী শিবির থেকে ক্রস ভোটিংয়ের জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ফলাফল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ রাধাকৃষ্ণনকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, “২০২৫ সালের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ের জন্য সিপি রাধাকৃষ্ণনজিকে আন্তরিক অভিনন্দন। সমাজসেবা এবং দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষকে ক্ষমতায়নের কাজে তাঁর জীবন উৎসর্গিত। আমি নিশ্চিত তিনি একজন অসাধারণ উপরাষ্ট্রপতি হবেন, যিনি ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় করবেন এবং রাজ্যসভায় সংসদীয় বিতর্ককে সমৃদ্ধ করবেন।”
এই নির্বাচনে ১৩ জন সাংসদ ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজু জনতা দলের ৭ জন, ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতির ৪ জন, শিরোমণি অকালি দলের ১ জন এবং ১ জন নির্দল সাংসদ।
জগদীপ ধনখড়ের চেয়ারে এবার বসতে চলেছেন রাধাকৃষ্ণন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ ভারতের অভিজ্ঞ রাজনীতিক তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণনের উপরাষ্ট্রপতি পদে অভিষেক এনডিএ-কে দক্ষিণে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে তাঁর সংসদীয় অভিজ্ঞতা রাজ্যসভার কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছে শাসক শিবির।
