আসন্ন দুর্গাপুজো ঘিরে প্রস্তুতিতে নেমেছে বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশ। বিধাননগর পুলিশের কমিশনার মুকেশ কুমার নিজে সল্টলেকের বড় বড় প্যান্ডেলের প্রস্তুতি ঘুরে দেখেছেন। অন্যদিকে কলকাতায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও অফিসার-ইন-চার্জরা পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে প্যান্ডেল থেকে বের হওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছেন।
সল্টলেকের জনপ্রিয় পুজোগুলির মধ্যে একে ব্লকসহ বেশ কিছু পুজো কমিটি পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েছে পার্কিং সমস্যার সমাধানে। আয়োজকরা অনুরোধ করেছেন, যাতে বিএমসি খালি জমিগুলোকে অস্থায়ী পার্কিং লটে ব্যবহার করতে দেয়। সূত্রের খবর, বিধাননগর পুলিশের শীর্ষ কর্তারা নীতিগতভাবে অনুমতি দিয়েছেন, তবে প্রতিটি ক্ষেত্র আলাদাভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।
দমদম পার্কে কমিশনার মুকেশ কুমার নির্দেশ দিয়েছেন, প্রবেশ ও বেরোনোর যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে, যাতে ভিড় সামলানো যায়।কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকা পুজোর আয়োজকরাও জানিয়েছেন, জোর দেওয়া হচ্ছে একাধিক বড় বাজেটের পুজো একসাথে হওয়া এলাকাগুলিতে বেরোনোর ব্যবস্থা নিয়ে। এর মধ্যে অন্যতম বেহালা।
বেহালা নতুন দল পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আমরা ইতিমধ্যেই প্রবেশের দিক পরিবর্তন করেছি। এখন দুটি প্রবেশদ্বার রাখা হয়েছে, একটি বেহালা ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে, আরেকটি বেহালা ট্রাম ডিপো থেকে।”
হারিদেবপুরের অজেয় সংঘতি ও ৪১ পল্লি , এই দুই বড় পুজো কমিটিও একই রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দর্শনার্থীরা প্রথমে ৪১ পল্লিতে ঢুকবেন, সেখান থেকে বেরিয়ে বিবেকানন্দ পার্ক পুজোতে যাবেন, তারপর পৌঁছবেন অজেয় সংঘতিতে। এতে পিক আওয়ারে ভিড় একমুখী পথে এগোবে, ফলে চাপ কমবে।
প্যান্ডেলের বাইরে, মেট্রো স্টেশন ও বাসস্টপেও ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিশেষ পরিকল্পনা চলছে। বিশেষ নজর থাকবে রাসবিহারী ও হাতিবাগান এলাকায়, যেখানে বহু বড় পুজোর আয়োজন হয়।
