২০২৩ সালের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেতে চলেছেন মোহনলাল। শুক্রবার এমনই ঘোষণা করল ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার নির্বাচনী কমিটির সুপারিশে ভারত সরকার মালয়ালম সিনেমার সুপারস্টার মোহনলাল-কে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক এক পোস্টে জানিয়েছে, “মোহনলালের অসাধারণ সিনেমা যাত্রা প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। এই কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য সম্মানিত হচ্ছেন। তাঁর অনন্য প্রতিভা, বহুমুখী কাজ ও অক্লান্ত পরিশ্রম ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”
এই পুরস্কার আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে ৬৫ বছর বয়সি মোহনলালের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোহনলালকে। তিনি এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, “শ্রী মোহনলালজি উৎকর্ষ ও বহুমুখী প্রতিভার প্রতীক। দশকের পর দশক ধরে তাঁর অসাধারণ কাজ মালায়ালম সিনেমা ও থিয়েটারে আলোকবর্তিকা হয়ে আছে। কেরলের সংস্কৃতির প্রতি তিনি গভীরভাবে অনুরাগী। শুধু মালায়ালম নয়, তিনি তেলুগু, তামিল, কন্নড় ও হিন্দি সিনেমাতেও দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তাঁর শিল্পীসত্তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।”
উল্লেখ্য, চার দশকের বেশি সময় ধরে মোহনলাল অভিনয় করে আসছেন মালায়ালম অভিনেতা মোহনলাল। মালায়ালম, তামিল, তেলুগু, হিন্দি ও কন্নড় মিলিয়ে তিনি ৩৫০টিরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। তাঁর জনপ্রিয় ও সমালোচকদের প্রশংসিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে থানমাত্রা, দৃশ্যম, বনপ্রস্থম, মুনথিরিভাল্লিকাল থালির্ক্কুম্বোল এবং পুলিমুরুগন।
মোহনলালের অসাধারণ অভিনয় ও বহুমুখী চরিত্র ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতার জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতা, নয়বার কেরল রাজ্য পুরস্কার এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছেন। এছাড়া, ২০০১ সালে তিনি পদ্মশ্রী এবং ২০১৯ সালে পদ্মভূষণ সম্মান পান।
উল্লেখ্য, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান। এই পুরস্কারের নামকরণ হয়েছে ধুন্ধিরাজ গোবিন্দ ফালকের নামে। “ভারতীয় সিনেমার জনক” নামে পরিচিত দাদা সাহেব ফালকে। ২০২৩ সালের এই পুরস্কার দুই বছর দেরিতে দেওয়া হচ্ছে, কারণ করোনা মহামারির সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সময়সূচি পিছিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, গত বছর এই সম্মান পেয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।