প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রবিবার বিকেল ৫টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে। তবে তিনি কোন বিষয় নিয়ে ভাষণ দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
ভাষণের সময়কালকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সোমবার থেকেই কার্যকর হতে চলেছে জিএসটি ২.০ সংস্কার। ফলে এই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নতুন কর ব্যবস্থার দিকে ইঙ্গিত করতে পারেন বলে ধারণা। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসাধারীদের ওপর কড়াকড়ি এবং দিল্লি-ওয়াশিংটনের শুল্ক দ্বন্দ্বও আলোচনার সম্ভাব্য বিষয় হিসেবে উঠে আসছে।
এর আগে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছেন। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর তিনি ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ তিনি বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে ভাষণ দেন। ২০২০ সালে করোনা মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা ও পরবর্তীতে তার মেয়াদ বাড়ানোতেও মোদি সরাসরি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি চলতি বছরের ১২ মে “অপারেশন সিন্দুর”-এর বিষয়ে জাতিকে অবহিত করেন।
আজকের ভাষণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ সোমবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে জিএসটি ২.০ সংস্কার। নতুন ব্যবস্থায় কর কাঠামো সহজ হচ্ছে। বর্তমানে চারটি স্ল্যাব (৫%, ১২%, ১৮% ও ২৮%) থেকে কমে এটি দুই স্ল্যাবে (৫% ও ১৮%) নামানো হয়েছে। তবে বিলাসবহুল পণ্যের ওপর কর ধরা হয়েছে ৪০%।
এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন ঘি, পনির, মাখন, ওষুধ ও গৃহস্থালির ইলেকট্রনিক সামগ্রী সস্তা হবে। সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগীদের মধ্যে থাকবেন গাড়ি কিনতে ইচ্ছুক ক্রেতারা। দীপাবলির আগে ধনতেরসে গাড়ির দামে বড় কাটছাঁটের ঘোষণা করেছে একাধিক নির্মাতা সংস্থা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, উৎসবের মরশুমে এই সংস্কার ভোগব্যয় ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।