বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামনের সারিতে চলে আসা ভারতকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হলটা কী? মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতি, একের পর এক ভারতীয়ের হত্যার পর এবার সেদেশে থাকা ‘স্ট্যাচু অব ইউনিয়ন’ নামের হনুমান মূর্তিকে নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন এক নেতা। ট্রাম্পেরই দলের টেক্সাসের রিপাবলিকান নেতা আলেকজান্ডার ডানকান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘একটি খ্রিস্টান দেশ’ বলে উল্লেখ করে হিন্দু দেবতার মূর্তি নির্মাণে আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
২০২৪ সালে উদ্বোধন হওয়া ‘স্ট্যাচু অব ইউনিয়ন’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ হিন্দু মূর্তি। শ্রী চিন্নাজীয়ার স্বামিজির পরিকল্পনায় তৈরি এই মূর্তি আমেরিকার তৃতীয় উচ্চতম মূর্তিও বটে। টেক্সাসের রিপাবলিকান নেতা আলেকজান্ডার ডানকান সুগার ল্যান্ড শহরের শ্রী অষ্টলক্ষ্মী মন্দিরের মূর্তিটির ভিডিয়ো শেয়ার করে যা লিখেছেন তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, “আমরা একটি খ্রিস্টান জাতি। আমরা কেন টেক্সাসে একটি মিথ্যা হিন্দু দেবতার মিথ্যা মূর্তি স্থাপন করতে দিচ্ছি?”
আরেকটি পোস্টে ডানকান বাইবেলের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখেন, “তোমাদের আমার ছাড়া অন্য কোনও দেবতা থাকবে না। তোমরা নিজের জন্য কোনও মূর্তি বা আকাশে, মাটিতে বা সমুদ্রে যা কিছু আছে তার কোনও প্রতিরূপ তৈরি করবে না।”(এক্সোডাস ২০:৩-৪)
ডানকানের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেট মহলে।হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন একে হিন্দুবিরোধী ও উস্কানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে। এই ইস্যুতে এইচএএফ আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সাস রিপাবলিকান পার্টির কাছে অভিযোগও জানিয়েছে। ২০২৪ সালে উদ্বোধন হওয়া ‘স্ট্যাচু অব ইউনিয়ন’কে যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুধর্মের অন্যতম বৃহৎ প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়।
অনেক নেটিজেন রিপাবলিকান নেতাকে মার্কিন সংবিধান যে প্রত্যেককে যে কোনও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দিয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এক এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আপনি হিন্দু নন বলেই এটিকে মিথ্যা বলা যায় না। বেদ রচিত হয়েছিল যিশুর জন্মের প্রায় ২০০০ বছর আগে… খ্রিস্টধর্মের উপর এদের প্রভাব স্পষ্ট।…”
Leave a comment
Leave a comment