সাম্প্রতিক সময়ে অনেক জরুরি পণ্য ও গৃহস্থালির জিনিসপত্রের ওপর জিএসটি কমিয়েছে কেন্দ্র। লাগু হয়েছে জিএসটি ২.০ । যাতে সাধারণ মানুষ বেশি সুবিধা পান, তাই এই উদ্যোগ। কিন্তু অনেক ক্রেতা জানাচ্ছেন, দোকান বা অনলাইন শপে দাম এখনও আগের মতোই আছে।
জিএসটি কমানোর পরেও বাস্তবে দাম কমেনি, এনিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। মানুষ ভাবছেন, জিএসটি কমলেও তাঁরা কেন সস্তায় পাচ্ছেন না? অনলাইন রিটেইলার ও দোকানদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছে, কারণ তাঁরা এই কর ছাড় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন না। মানুষ হতাশ, কারণ কাগজে কলমে কম হয়েছে, কিন্তু পকেটে কম লাগছে না, এটা কেন? উঠছে প্রশ্ন।
ক্রেতাদের জন্য রইল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই প্রতিবেদনে।
যদি আপনি মনে করেন আপনাকে বেশি চার্জ করা হয়েছে, তাহলে ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইন (NCH)-এর মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারেন। প্রক্রিয়া খুব সহজ।
ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইন বিশেষভাবে জিএসটি সংক্রান্ত অভিযোগগুলো জমা নিচ্ছে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইন্ডিরেক্ট ট্যাক্সেস এন্ড কাস্টমসও বলেছে যে, প্রতিটি সঠিক অভিযোগের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যাঁরা নিয়ম মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু কীভাবে অভিযোগ করবেন আপনি? যখনই দেখবেন আপনার থেকে আগের দাম নেওয়া হচ্ছে কিংবা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে তাহলে অবশ্যই ফোন করুন ১৯১৫ নম্বরে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে অভিযোগ করতে পারবেন। অভিযোগ ১৭টি ভাষায় করা যায়।
প্রতিমাসে সরকার এক লাখের বেশি অভিযোগ পায়। এবার জিএসটি সংক্রান্ত অভিযোগের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে যাতে তা দ্রুত এবং মনোযোগ দিয়ে দেখা যায়, এবং প্রতিটি অভিযোগের সমাধান করা যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিযোগ করা শুধুমাত্র আপনার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নয়, এটি বাজারের নিয়মকানুনকেও পোক্ত করে। আপনার অভিযোগ দোকানদার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে জানিয়ে দেয়, কর কমানো কেবল কাগজে নয়, পণ্যের দামেও কার্যকর করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক জিএসটি কমানোর সুবিধা আপনার কাছে পৌঁছায়নি? তাহলে অভিযোগ করুন। এটি আপনার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
