দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর সাধারণ পরিষদে দেওয়া প্রথম ভাষণে রাষ্ট্রসঙ্ঘকেই তোপ দাগলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘকেই দায়ী করেছেন। কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে আমি দুটো জিনিস পেয়েছি, একটা খারাপ এস্কেলেটর আর একটা খারাপ টেলিপ্রম্পটার।” তাঁর অভিযোগ, “ইউনাইটেড নেশনস-এর আসল কাজ কী? তারা শুধু শক্ত ভাষায় চিঠি লেখে, খালি কথায় যুদ্ধ থামে না।”
ট্রাম্প তার ভাষণে দাবি করেন, তিনি সাতটি যুদ্ধের ইতি টেনেছেন। তবে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ এবং গাজায় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে তাঁর চেষ্টা কাজে আসেনি। পাশাপাশি তিনি আমেরিকার বন্ধু দেশগুলোর প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির সিদ্ধান্তকে আসলে ‘হামাসকেই পুরস্কৃত করা’ বলে মন্তব্য করেন এবং বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। ট্রাম্প ইউরোপীয় বন্ধুদের পাশাপাশি ভারত ও চিনকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করার জন্যও আক্রমণ করেন।
ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গোটা পৃথিবীর উদ্বেগকে “বিশ্বের উপর চালানো সবচেয়ে বড় প্রতারণা” বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু উদ্যোগকে তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বক্তৃতায় অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর ভাষায় সরব হয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন যে এই উন্মুক্ত সীমান্তের ব্যর্থ পরীক্ষা শেষ করার সময় এসেছে। তাঁর অভিযোগ, ইউনাইটেড নেশনস অবৈধ অভিবাসনকে উৎসাহ দিচ্ছে এবং এর ফলে পশ্চিমি বা ইউরোপের দেশগুলোর উপর ‘আক্রমণ’ নেমে আসেছে যেগুলি তাঁর কথায় ‘নরকে যাচ্ছে’ বা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।