নামেই ট্রেন, আসলে ‘মিনি রাষ্ট্রপতি ভবন’। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিল্লি থেকে মথুরার উদ্দেশে রওনা দেন বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ট্রেন মহারাজাস এক্সপ্রেসে চেপে। এই যাত্রার জন্য ভারতীয় রেল বিশেষভাবে ব্যবস্থা করে। শুধু রাষ্ট্রপতির জন্য প্রস্তুত এই ট্রেনটিকে সাধারণ পরিষেবার বাইরে রাখা হয়, যাতে সমস্ত আধুনিক সুবিধা, নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে।
রাষ্ট্রপতির এই বিশেষ ট্রেনটিতে রয়েছে মোট ১৮টি কোচ, যার মধ্যে আলাদা আলাদা উদ্দেশ্যে সাজানো কেবিন, লাউঞ্জ, রেস্তোরাঁ, রান্নাঘর এবং নিরাপত্তা কর্মীদের কামরা। কাজ অনুযায়ী প্রতিটি কামরার আলাদা নামকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
•২টি ইঞ্জিন ও ২টি পাওয়ার কার
•রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ ‘নবরত্ন স্যুইট’,
•২টি বিলাসবহুল স্যুইট ও ৩টি জুনিয়র স্যুইট,
•২টি লাউঞ্জ— ‘সাফারি’ ও ‘রাজা ক্লাব’
•২টি রেস্তোরাঁ— ‘ময়ূর মহল’ ও ‘রং মহল’,
•রান্নাঘর ও স্টাফ কোচ,
•চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ‘নীলম’ স্যুইট,
•রাষ্ট্রপতির পরিবারের জন্য ‘হীরা স্যুইট’,
•রেল আধিকারিকদের জন্য ‘মুঙ্গা’ জুনিয়র স্যুইট’।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ট্রেনটি এক প্রকার ‘মিনি রাষ্ট্রপতি ভবন’-এর পরিবেশ তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের আধিকারিকদের জন্য আলাদা লাউঞ্জ ও ডাইনিং এরিয়া রয়েছে।
মহারাজাস এক্সপ্রেসের প্রতিটি কামরা সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। খাদ্য ও পানীয় পরিবেশন করেন রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা। ট্রেনটি যাত্রাপথে কোথাও থামে না, শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে থামানো হয়। বিশেষ নিরাপত্তা ও মেডিক্যাল টিম সর্বদা সঙ্গে থাকে।
মথুরায় পৌঁছে রাষ্ট্রপতি মুর্মু প্রথমেই বৃন্দাবনের শ্রীরাধাবল্লভ বাঁকেবিহারী মন্দিরে পুজো দেবেন। এরপর তিনি যাবেন মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান মন্দির এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে। সফরকালে তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জুন ২০২৩-এ বিশেষ এই ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন। তখন তিনি ভুবনেশ্বর থেকে তাঁর নিজ শহর ওড়িশার রায়রাঙ্গপুরে গিয়েছিলেন।