
আলাস্কায় প্রচুর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বৈঠক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পুতিনের বিদেশনীতিতে যে বিন্দুমাত্র বদল ঘটাতে পারেন নি তা ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন ঘটনায়।ভারত রাশিয়া থেকে প্রচুর অপরিশোধিত তেল আমদানি করায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের রোষানলে পড়েছে দিল্লি, চাপানো হয়েছে বিশাল শুল্ক।এই ইস্যুতেই এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি তিনি জানান বিদেশি চাপের মুখে ভারত কখনও মাথা নোয়াবে না। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ভালদাই ডিসকাশন ফোরাম -এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর বেশি শুল্ক চাপানো নিয়ে সতর্ক করে দেন।তিনি বলেন তা আসলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেবে এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার বাড়াতে বাধ্য করবে।এতে আমেরিকার অর্থনীতিই ধাক্কা খাবে।

পুতিন ওয়াশিংটনের দ্বিচারিতা নিয়ে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, আমেরিকা ভারতসহ অন্যান্য দেশকে রাশিয়ান জ্বালানি না কিনতে চাপ দিচ্ছে, অথচ তারা নিজেরাই রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, “আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অন্যতম।এর জন্য প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন।আমরা সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী নই, কিন্তু আমেরিকান বাজারে ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী রাশিয়া।”

ডিসেম্বরের গোড়ায় পুতিন ভারত সফরে আসবেন বলেও জানিয়েছেন। ভারত রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি করে, এমন কথা জানিয়ে পুতিন বলেন দিল্লির সঙ্গে মস্কোর কখনও কোনো সমস্যা বা টানাপোড়েন হয়নি। এই প্রসঙ্গেই রুশ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ভারত বাইরের চাপে নত হবে না। পুতিন জানান, “ভারত কখনও নিজেকে অপমানিত হতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এমন কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথাও উল্লেখ করেন।