
প্রথমবারের মতো একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে জাপান। আগামী ১৫ অক্টোবর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মেয়াদ শেষ হবে। তারপরই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন চিন বিরোধী বলে পরিচিত সানায়ে তাকাইচি।
৬৪ বছর বয়সি এই আল্ট্রা-রক্ষণশীল নেত্রীর অবস্থান ও মতাদর্শ পুরুষপ্রধান রাজনীতির সঙ্গে বেশি মেলে বলে অভিযোগ। ফলে নারীদের মধ্যে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে উচ্ছ্বাসের বদলে মিশ্র প্রতিক্রিয়াই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কে এই সানায়ে তাকাইচি? রাজনীতিতে আসার আগে তিনি ছিলেন হেভি-মেটাল ড্রামার এবং মোটরবাইক রাইডার।
৬৪ বছর বয়সি এই নেত্রী এখন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব দেবেন। ১৯৯৩ সালে নিজের শহর নারা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলান।

প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারকে তিনি অনুসরণ করেন এবং শিনজো আবের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থক।তিনি এতটাই রক্ষণশীল যে তাকাইচি বহুবার এমন সব সংস্কারের বিরোধিতা করেছেন, যা মহিলাদের ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত। তিনি বিশ্বাস করেন, নারীদের ‘ভালো মা ও স্ত্রী’ হওয়াই কাম্য। তিনি একইসঙ্গে সমলিঙ্গ বিবাহ, মহিলাদের সম্রাট হওয়ার অধিকার, এবং দম্পতিদের আলাদা পদবি রাখার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।
জাপান একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক হলেও সমালোচকরা বলছেন, এতে নারীদের বাস্তব অগ্রগতি তেমন হবে না। হিসেব বলছে জাপানের শক্তিশালী সংসদের নিম্নকক্ষে মাত্র ১৫% মহিলা সদস্য রয়েছেন। পাশাপাশি ৪৭টি প্রিফেকচারের মধ্যে মাত্র দুটোতে মহিলা গভর্নর।

অনেকেই মনে করছেন তাকাইচির পুরুষপ্রধান নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য নারীদের অধিকার প্রসারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
