
তিস্তা নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা বুধবার পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সকালে শিলিগুড়িতে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-এর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য প্রশাসনের উপর তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। বলেছেন, ‘এরাজ্যে আইনের কোনও শাসন নেই। সাংসদ- বিধায়ক সহ বিজেপির প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ৮ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ করেনি।’
শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সোজা জলপাইগুড়ি চলে আসেন বালুরঘাটের পদ্ম সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানে ময়নাগুড়ি সহ বন্যা কবলিত বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন। দুর্গতদের হাতে তুলে দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী। চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বও। জলপাইগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন এদিন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিস্তা নদী পাড়ের গ্রামগুলিতে বিজেপি সমর্থক বেশি থাকায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় কোনও সহায়তাও মিলছে না। দুর্গতদের অভিযোগ, অনেকের ঘরবাড়ি ভেসে গেলেও শুধুমাত্র একটা ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। অন্য কোনও সহায়তা তাঁরা এখনও পাননি। ত্রাণ-সামগ্রী না পাওয়া ঘিরে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বিপর্যস্ত এলাকাবাসীর যাবতীয় ক্ষোভ ও অভিযোগ শুনেছেন সপার্ষদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের সামনেই তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা ও পাহাড়ের দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করছেন। তিস্তা অঞ্চলের বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে না এসে, তিনি ত্রিপুরায় দলের নেতা-নেত্রীদের পাঠাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারে জন্য। যেখানে তাঁর দলের জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই।”
নাগরাকাটার ঘটনা টেনে বালুরঘাটের পদ্ম সাংসদ রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশ্যে। বলেছেন, “যারা বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলা চালিয়েছে এবং যাদের ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত করা গেছে, তাদের যদি আগামী ১ মাসের মধ্যে গ্রেফতার করে শাস্তি না দেওয়া হয়, তবে বিজেপি এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামবে। এবং সেই হামলার পাল্টা উপযুক্ত জবাব দেবে।“