
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে উত্তরবঙ্গ। একটানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ধস, নদীর জলে ভেসে যাওয়া ঘরবাড়ি সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়েছিল গোটা অঞ্চল। সেই দুর্যোগে যাঁরা নিরলস পরিশ্রমে উদ্ধারকাজে নেমেছিলেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আলিপুরদুয়ারে গিয়ে ৮ জন সাহসী মানুষকে সম্মানিত করলেন তিনি।
কলকাতা বিমানবন্দরে রওনা দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যাঁরা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন, তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।” উত্তরবঙ্গে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এই মানুষগুলো না থাকলে অনেকেই বিপদে পড়তেন।” তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, রাস্তা ও সেতুর রিপোর্ট মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল। পাহাড়ে ধস নামে, বহু মানুষ গৃহহীন হন। অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানির খবর মেলে। মুখ্যমন্ত্রী দুর্যোগের প্রথম দিন থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। নবান্ন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণশিবির, অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ও রান্নাঘর চালু রয়েছে। খাদ্য, পানীয় জল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দুর্গত পরিবারগুলির কাছে।
পরিকাঠামো পুনর্গঠনের কাজও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। দার্জিলিংয়ের দুধিয়া ব্রিজে মেরামত চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়, যা ২৫ অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এনএইচ-৩১সি-র কালিখোলা সেতুতেও চলছে দ্রুত কাজ। মুখ্যমন্ত্রী জানান, মানুষের কষ্ট লাঘবই এখন সরকারের প্রথম লক্ষ্য।
উত্তরবঙ্গের এই আট জন ‘নায়ক’কে সম্মান জানিয়ে মমতা বলেন, তাঁদের সাহস, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধই আমাদের রাজ্যের আসল সম্পদ।