
দার্জিলিং সফরে গিয়ে পাহাড়ের রূপে মুগ্ধ হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুখিয়াপোখরি থেকে পশুপতি ফটকের পথে ঘুরে তিনি নতুন এক পর্যটন কেন্দ্রের সম্ভাবনা খুঁজে পেয়েছেন। পাহাড়ের কোলে মনোরম সেই স্থানটিকেই তিনি রাজ্যের পরবর্তী বড় পর্যটন প্রকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন। প্রশাসনকে তিনি ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন, এক বছরের মধ্যে সেখানে নতুন ট্যুরিস্ট স্পট তৈরি করতে হবে।
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এই উদ্যোগকে ধরা হচ্ছে ‘দ্বিতীয় লামাহাটা’ হিসেবে। ২০১২ সালে লামাহাটাকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া উদ্যোগ যেমন পাহাড়ে হোম স্টে সংস্কৃতির সূচনা করেছিল, তেমনই এবার সুখিয়াপোখরি অঞ্চলেও সেই মডেলেই উন্নয়ন হবে। নতুন প্রকল্পে পর্যটনের পাশাপাশি স্থানীয়দের বিকল্প জীবিকার সুযোগও তৈরি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চলেছে।
পাহাড়ে ইতিমধ্যেই বহু চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পর্যটক শুটিং করতে আসছেন। ফলে নতুন পরিকাঠামো তৈরি হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষও আশা করছেন, এই প্রকল্প তাঁদের জীবনে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
দার্জিলিং সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গেও সময় কাটান। বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের হাতে তুলে দেন উপহার এবং তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা দিতে গিয়ে তিনি জানান, পর্যটনের বিকাশই পাহাড়ের সুখ ও স্থিতির মূল চাবিকাঠি।
সুখিয়াপোখরির এই নতুন প্রকল্পকে ঘিরে এখন পাহাড় জুড়ে উচ্ছ্বাস। প্রশাসনের ধারণা, আগামী এক বছরের মধ্যেই গড়ে উঠবে রাজ্যের নতুন পর্যটন রত্ন ‘লামাহাটা ২.০’।