
দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। ঘটনার তদন্তে এখন নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকা নতুন করে প্রশ্নের মুখে এসেছে। তদন্তকারীদের একাংশের মতে, সহপাঠী কখনোই সম্পূর্ণভাবে সন্দেহমুক্ত নয়। ঘটনার দিন রাতের আচরণও ছিল সন্দেহজনক এবং তার বয়ানেও অসঙ্গতি দেখা গেছে।
মঙ্গলবার পুলিশ প্রথমে সহপাঠীকে নিয়ে জঙ্গলে যায় এবং সেখানে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এরপর তাকে হোস্টেলে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির সময় হোস্টেলের ঘর থেকে ১১টি কন্ডোম উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ক্রাইম সিনের স্থান থেকে একটি অব্যবহৃত কন্ডোম পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃত কন্ডোমসহ অন্যান্য সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনা এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে তদন্তে নতুন দিক খুলেছে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, সহপাঠীর গ্রেফতার অপরিহার্য। ধৃত সহপাঠীর বাবা কংগ্রেস নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্য এবং স্থানীয় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে যুক্ত।
তদন্তকারীরা বলেন, ঘটনার প্রতিটি দিক খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। হোস্টেল ও ক্রাইম সিনের পাওয়া নতুন তথ্য কাণ্ডের রহস্য আরও গভীর করেছে। পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুর্গাপুর কাণ্ডে জনগণ ও রাজ্যের রাজনৈতিক মহল গভীর মনোযোগ দিচ্ছে। ঘটনার ধরন ও সহপাঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা সমাজে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং নির্যাতিতার পরিবারের দাবি পূরণের জন্য তদন্তকারীরা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করছেন।
কাণ্ডটি ক্রমেই একটি জটিল মামলার রূপ নিচ্ছে, যেখানে প্রতিটি নতুন তথ্যই ঘটনার পুরো চিত্র স্পষ্ট করতে সহায়ক হবে।
