
প্রাথমিকে শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিতে ফের পথে নামলেন প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিল করেন ডিএলএড ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। তাঁদের মূল দাবি, প্রাথমিক শিক্ষায় আরও বেশি শূন্যপদ ঘোষণা করতে হবে এবং দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১৩,৪২১টি শূন্যপদ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই সংখ্যা বাস্তব পরিস্থিতির তুলনায় অনেক কম। তাঁদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক সংকট তীব্র আকার নিয়েছে। বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন, ফলে পড়াশোনার মান নষ্ট হচ্ছে। তাঁদের মতে, অন্তত ৫০ হাজার পদ খালি রয়েছে, যা দ্রুত পূরণ করা প্রয়োজন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিও। চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানান। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যাঁরা টেট ছাড়া বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন, তাঁদেরও টেট পরীক্ষায় বসতে হবে এই রায়ে রাজ্য সরকার নতুন চাপে পড়েছে।
ফলে প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হতে পারে। শিক্ষা দফতর আশঙ্কা করছে, এর ফলে স্কুলের পাঠদান প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। জানা গেছে, নবান্ন ইতিমধ্যেই রিভিউ পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইনজীবীদের পরামর্শ অনুযায়ী খুব শিগগিরই এই সংক্রান্ত আবেদন সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা এক অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়েছে। একদিকে নিয়োগপ্রত্যাশীদের আন্দোলন, অন্যদিকে বিদ্যমান শিক্ষকদের টেট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত দু’পক্ষের চাপেই শিক্ষা দফতর কার্যত ব্যস্ত সময় পার করছে।
