
কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ২০২২ সালে দেওয়া রক্ষা কবচ প্রত্যাহার করলো। কলকাতা হাইকোর্টের তখনকার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি FIR-এর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। তার নির্দেশ ছিল, ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনো নতুন FIR করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
কিন্তু এই রক্ষা কবচই এবার উঠে গেল। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো অন্তর্বর্তী নির্দেশ অনন্তকাল চলতে পারে না। তিনি আরও বলেছেন, যদি পক্ষের কোনো বক্তব্য থাকে, তা লিখিত আকারে সোমবারের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি মানিকতলা ও অন্যান্য তিনটি মামলার তদন্তের জন্য সিবিআই এবং রাজ্যের যুগ্ম SIT গঠন করা হয়েছে। এই চারটি মামলায় বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫টি মামলা আদালত ইতিমধ্যেই খারিজ করেছে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের রক্ষা কবচ প্রত্যাহারের পর শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান আরও শক্তভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আদালতের এই পদক্ষেপ মামলাগুলির দ্রুত সমাধানের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
রাজনৈতিক ও আইনজীবী মহলে চলমান আলোচনা এই নিয়ে, যে রক্ষা কবচ প্রত্যাহারের প্রভাব শুভেন্দুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অবস্থানের ওপর কতটা পড়বে। আগামী সোমবার পর্যন্ত পক্ষের লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দেওয়ার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন FIR দায়েরের পথে আদালতের অনুমতির বাধ্যবাধকতা থাকছে না, ফলে রাজনৈতিক ও আইনি জটিলতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
