
ভারতের ট্যাক্সি বাজারে বড় পরিবর্তন আনতে আসছে দেশের প্রথম সমবায় ভিত্তিক রাইড হেলিং পরিষেবা ‘ভারত ট্যাক্সি’। ওলা ও উবেরের আধিপত্যের যুগে এই নতুন উদ্যোগ চালু হলে চালকরা শুধু সেবা দানকারী নয়, সমবায়ের অংশীদার হিসেবেও নিজেদের অবস্থান পাবে। সরকারের উদ্যোগে তৈরি এই প্ল্যাটফর্মটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং জাতীয় ই-গভর্নেন্স বিভাগ (NeGD) যৌথভাবে পরিচালনা করছে।
নভেম্বরেই দিল্লিতে প্রারম্ভিকভাবে ৬৫০ জন চালক ও গাড়ির মালিক এই প্রোগ্রামে অংশ নেবেন। সফল হলে ডিসেম্বর থেকে ধীরে ধীরে অন্যান্য শহরেও পরিষেবাটি চালু হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৫,০০০ চালক যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যেই সব মেট্রো শহরে পরিষেবা সম্প্রসারিত হবে। দীর্ঘমেয়াদে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় এক লাখ চালককে এই প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনা হবে।
‘ভারত ট্যাক্সি’-র মূল বৈশিষ্ট্য হল এটি বেসরকারি কোম্পানি নয়, বরং সমবায় সংস্থা, যেখানে চালকরা আয় এবং লাভের ন্যায্য অংশ পাবেন। সরকারি উদ্যোগে গঠিত বিশেষ কাউন্সিল এই পরিষেবার তদারকি করবে। আমুল ব্র্যান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়েন মেহতা এই কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চালকরা মনে করছেন, ওলা-উবেরের অতিরিক্ত কমিশন ও চার্জের চাপে যে আয় কমে গিয়েছিল, তা এই নতুন সমবায় মডেল পরিবর্তন করতে পারবে। শুধু শহরেই নয়, জেলা সদর এবং গ্রামীণ এলাকাতেও সাধারণ মানুষ ভারত ট্যাক্সি ব্যবহার করতে পারবে। সরকারের লক্ষ্য, এই উদ্যোগ ভারতীয় চালকদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে এবং দেশীয় ডিজিটাল রাইড হেলিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ডিসেম্বর থেকে পরিষেবার কার্যক্রম শুরু হলে দেখা যাবে, ভারতের ট্যাক্সি বাজারে কতটা নতুন পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয় ‘ভারত ট্যাক্সি’।
