
ব্রিটেনের ওয়ালসল শহরে পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এটি জাতিগত বিদ্বেষমূলক হামলা। ঘটনাস্থল ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের পার্ক হল এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় তরুণীকে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি জাতিগত বিদ্বেষের কারণে ওই তরুণীর উপর নৃশংস হামলা চালায়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ত্রিশোর্ধ্ব এক শ্বেতাঙ্গ পুরুষ কালো পোশাকে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তাঁকেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তাই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওয়ালসলের শিখ সমাজে এই ঘটনার পর প্রবল ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সম্প্রদায়ের দাবি, আক্রান্ত তরুণী পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত এবং তাঁকে পরিকল্পিতভাবে নিশানা করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও কাছাকাছি ওল্ডবুরি এলাকায় একইভাবে এক শিখ তরুণী জাতিগত বিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন। যদিও পুলিশের দাবি, দুটি ঘটনার মধ্যে সরাসরি কোনও যোগসূত্র মেলেনি।
স্থানীয় সংগঠনগুলির মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রিটেনে ভারতীয় ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে জাতিগত ঘৃণা ও আক্রমণ বেড়েছে। এই ঘটনায় ওয়ালসল ও আশেপাশের এলাকায় আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভও ছড়িয়েছে। সমাজকর্মীরা দাবি করেছেন, দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের পুলিশ ও ফরেনসিক টিম যৌথভাবে প্রমাণ সংগ্রহ ও সিসিটিভি বিশ্লেষণ চালাচ্ছে। এদিকে, ব্রিটেনের পাঞ্জাবি ও শিখ সমাজ এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।
