
বেহালার ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগরে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করতেন স্বামী মিলন বালা। সেই সন্দেহ থেকেই শনিবার রাতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন তিনি। পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বচসা বাধে। রাগের মাথায় মিলন একটি ভারী পাথর তুলে স্ত্রী কাজল বালার মাথা ও মুখে একের পর এক আঘাত করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাজল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে মিলন নিজেই রক্তমাখা জামা পরে ঠাকুরপুকুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশ জানায়, থানায় পৌঁছে তিনি নিজেই জানান, সব শেষ করে ফেলেছেন। এরপর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কাজল বালাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে আইসিইউ-তে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি।
পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, মিলন দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। এই নিয়ে প্রায়ই দাম্পত্যে অশান্তি হতো। শনিবার সেই অশান্তি রূপ নেয় রক্তাক্ত ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝগড়া লেগেই থাকত, কিন্তু এমন ভয়াবহ পরিণতি হবে কেউ ভাবেনি।
ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ মিলন বালাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দাম্পত্য কলহ ও মানসিক অস্থিরতাকেই মূল কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে মনে করছে। এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোক ও আতঙ্কের ছায়া।
এ ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে, সম্পর্কের ভাঙন ও সন্দেহ কীভাবে পরিণত হচ্ছে চরম হিংসায়। পুলিশের দাবি, দাম্পত্য অশান্তি থেকে উদ্ভূত সহিংসতা ঠেকাতে সচেতনতা ও মানসিক সহায়তা জরুরি।
