
রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফের সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। এক সাম্প্রতিক নিবন্ধে তিনি ইঙ্গিত করেছেন, নেহরু থেকে প্রিয়ঙ্কা পর্যন্ত পরিবারের আধিপত্য দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক বিপজ্জনক বার্তা ছড়িয়েছে। তাঁর মতে, রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো যেন কিছু পরিবারের উত্তরাধিকার হয়ে উঠেছে, যা গণতন্ত্রের আদর্শকে দুর্বল করছে।
এই বক্তব্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি দ্রুত বিষয়টি হাতিয়ার করে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে আক্রমণ শুরু করেছে। তারা অভিযোগ তুলেছে, কংগ্রেসের মূল শক্তি এখন কেবল পরিবারনির্ভর। তৃণমূল, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকের মতো আঞ্চলিক দলগুলিকেও একই ছাঁচে ফেলতে শুরু করেছে পদ্ম শিবির।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। দলীয় অন্দরে দু’টি মত শোনা যাচ্ছে একদল মনে করছে, তারুরকে গুরুত্ব না দেওয়াই শ্রেয়, কারণ তাঁর মন্তব্যে দলের অভ্যন্তরীণ সমালোচনাই বেশি। অন্য গোষ্ঠীর মতে, বিজেপি যখন বিষয়টি প্রচারের হাতিয়ার বানাচ্ছে, তখন নেহরু-গান্ধী পরিবারের অবদান সামনে এনে পাল্টা বার্তা দেওয়া দরকার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারুরের বক্তব্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি বারবার পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কিন্তু এবার সময়টা গুরুত্বপূর্ণ বিহারের ভোটের আগে এমন মন্তব্যে কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি বিষয়টিকে জনমতের কেন্দ্রে আনতে চাইছে, যাতে বিরোধীদের একযোগে পরিবারবাদী রাজনীতির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা যায়।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই বিতর্কে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও প্রকাশ্যে চলে এসেছে, যা আসন্ন নির্বাচনী প্রচারে দলের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
