
তমলুকের সাংসদ ও প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশ্যে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের নির্বাচনী পরিস্থিতি বুঝতে বিজেপি ব্যর্থ হচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব রাজ্যে পরিবর্তন আনার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। অভিজিতের মতে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের চিন্তাভাবনা ও মেজাজ উত্তর ভারতের নেতাদের বোঝা সম্ভব নয়। তিনি হিন্দি বলয় থেকে নেতা এনে ভোট করানোর প্রচেষ্টা কার্যকর হবে না বলে মনে করেন।
অভিজিত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কাজকর্ম নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভোটার তালিকা বা প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে তৎপর থাকা উচিত ছিল, কিন্তু রাজ্যে তা সঠিকভাবে হয়নি। এডি, সিবিআইসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিজিত মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকা প্রয়োজন। তবে এমন ব্যবস্থা করলেও যে পরিবর্তন আসবে তা নিয়েও তিনি নিশ্চিত নন।
রাজ্যের রাজনীতিতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে অভিজিতের মন্তব্যের কারণে। বঙ্গ বিজেপি শিবিরকে এই মন্তব্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, অভিজিতের মতামত যথাযোগ্য জায়গায় আলোচনা হবে। প্রাক্তন বিচারপতির বক্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নয়া আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ও দলের নেতাদের ভূমিকাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
রাজ্যের নির্বাচনী পরিবেশে এই মন্তব্য নতুন দিশা তৈরি করেছে। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শক্তি সমীকরণ, কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা এবং রাজ্যের প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার নতুন মাত্রা এসেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, অভিজিতের মত প্রকাশ রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভোট ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
এই ঘটনা প্রমাণ করছে, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও অস্থির এবং কেন্দ্রীয়–রাজ্য সম্পর্কের ভঙ্গুরতা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।
