
বিবিসি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তৈরি বিতর্কে বড় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি ব্যাখ্যা বদলানো স্পিচ সম্প্রচার নিয়ে বিবিসি থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছিলেন। তবে সম্প্রচার সংস্থা বিবিসি এই দাবিটি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, এটি ছিল “মতের একটি ভুল সিদ্ধান্ত” এবং কোনোভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদানের পরিকল্পনা নেই।
বিবিসি চেয়ারম্যান সামির শাহ হোয়াইট হাউসে একটি ব্যক্তিগত ক্ষমাপত্র পাঠিয়েছেন এবং স্পষ্ট করেছেন যে, সংশোধিত প্যানোরামা এপিসোড আর সম্প্রচার করা হবে না। এই ঘটনায় বিবিসির পরিচালক-সাধারণ টিম ডেভি এবং নিউজ প্রধান ডেবোরাহ টার্নেস পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে, একটি অনলাইন পিটিশনে ইতিমধ্যেই ৪৫,০০০-এরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। তারা দাবি করেছেন যে, তাদের টিভি লাইসেন্স ফি দিয়ে ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ঠিক নয়। পিটিশনকারীরা মনে করছেন, এ ধরনের ক্ষতিপূরণ জনসাধারণের অর্থ ব্যবহার করে বিতর্কিত ফিগারকে উপকৃত করা হবে এবং এটি পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টিং-এর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ট্রাম্পের $১ বিলিয়ন ক্ষতিপূরণ দাবির মধ্যে দিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়ায় জনমত ও ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজমের শক্তি আবারও প্রমাণিত হলো। বিষয়টি শুধু আদালতের নয়, জনমত ও গণমাধ্যমের স্বচ্ছতার প্রশ্নও উত্থাপন করেছে। বিবিসি এ পর্যন্ত কোনও অতিরিক্ত মন্তব্য দেয়নি, তবে পরিস্থিতি দেশজুড়ে মিডিয়া ও দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট যে, পাবলিক ফান্ড ও সংবাদ মাধ্যমের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন আজ আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
