
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার যখন অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর করার পথে এগোচ্ছে, তখন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় বেতন পাচ্ছেন। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসছেন তারা।
ইউনিটি ফোরামের মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা নবান্নে সম্প্রতি একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশটি মুখ্যসচিব ও অর্থ দফতরের প্রধান সচিবের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। এতে তারা জানতে চেয়েছেন, রাজ্য সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না। পাশাপাশি ষষ্ঠ বেতন কমিশনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন।
ষষ্ঠ বেতন কমিশন দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষিত ছিল। এটি প্রায় চার বছর পরে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কার্যকর হয়। তবে সেই বেতন কমিশনে অনেক অসঙ্গতি ছিল। ফলে সরকারি কর্মীরা ৪৮ মাসের বেসিক বেতন, মহার্ঘ ভাতা ও বাড়িভাড়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বঞ্চনার অভিযোগ আরও প্রবল হয়েছে।
ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মীরা আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। কেন্দ্রের কর্মীদের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা প্রায় ৪০ শতাংশ কম ডিএ পাচ্ছেন। কেন্দ্রের কর্মীরা ৫৮ শতাংশ ডিএ পান, যেখানে রাজ্যের কর্মীদের ক্ষেত্রে তা মাত্র ১৮ শতাংশ। এই ব্যবধান ও বঞ্চনার বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
নোটিশের মাধ্যমে সরকারি কর্মীরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ডিএ এবং বেতন কমিশন সংক্রান্ত এই সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ প্রত্যাশিত। দীর্ঘদিনের বঞ্চনার পর সরকারি কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত করা এখন সময়ের দাবি।
এই সমস্যার দ্রুত সমাধান রাজ্য সরকারি কর্মীদের মানসিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
