পাকিস্তানের করাচি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিকেলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু করাচির কাছাকাছি ছিল, ফলে আশপাশের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। আকস্মিক এই ঘটনায় অনেক মানুষ নিরাপত্তার কারণে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৭, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তোলে। ভারতের জাতীয় ভূকম্পন গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে এবং ভারতীয় সময় বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সোমবার এই কম্পন ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পের পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
করাচির আশেপাশের অঞ্চলে সোমবার বিকেলে ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভূগর্ভে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। যদিও এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভূমিকম্পের আতঙ্কে মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল করাচি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে, বালোচিস্তানের উথল শহরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে। বালোচিস্তানের কিছু অংশেও হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কম্পনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম হলেও পরবর্তী সময় আরও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত মাসের শেষের দিকে পাকিস্তানে ৪.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যা অঞ্চলের ভূকম্পন প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় একের পর এক ভূমিকম্প আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে , তাদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভূমিকম্পের সক্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিতে পারে । একের পর এক ভূমিকম্পের ফলে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।
বিশেষ করে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলিতে বসবাসকারী মানুষজনের মধ্যে ভয় কাজ করছে। পাকিস্তানের প্রশাসন সতর্ক রয়েছে এবং পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে। নাগরিকদেরও সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পের বাড়তি তীব্রতা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন।